রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মনোনয়ন ঘিরে আপত্তির মধ্যেই গঠিত নতুন পরিষদের সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
তবে তাদের দায়িত্ব গ্রহণের দিন জেলা পরিষদ কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবগঠিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারসহ ১৫ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মো. শিবলী নোমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়াসহ পরিষদের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দায়িত্বভার গ্রহণের পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, “পার্বত্য এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করব। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাব।
জেলা পরিষদের নবগঠিত পরিষদকে সহযোগিতা করার জন্য এসময় তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে রাঙামাটি জেলা পরিষদের নতুন পরিষদ গঠন করা হয়।
নবগঠিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যরা হলেন– দেব প্রসাদ দেওয়ান, প্রণতি রঞ্জন খীসা, প্রতুল চন্দ্ৰ দেওয়ান, বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যওসিংমং, নাইউ প্রু মারমা, ড্যানিয়েল লাল মুয়ান পাংখোয়া, রাঙাবি তঞ্চঙ্গ্যা, সাগরিকা রোয়াজা, দয়াল দাশ, মো. হাবিব আজম, মিনহাজ মুরশীদ, বৈশালী চাকমা ও লুৎফুন্নেসা বেগম।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে তাদের মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি ওঠে পরিষদ ঘোষণার দিন থেকেই। এনিয়ে অনলাইন-অফলাইনেও চলে সমালোচনা।
এদিকে রবিবার সকালে নতুন জেলা পরিষদ সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই জেলা পরিষদ কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী ও ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী লীগের দোসরদের পরিষদের দায়িত্বে আনা হয়েছে।