নেইমারের কারণে একবার চাকরি হারিয়েছিলেন দোরিভাল জুনিয়র। ঘটনাটা ঘটেছিল ২০১০ সালে। দোরিভাল তখন সান্তোসের কোচ। একটি ম্যাচে তাকে পেনাল্টি নিতে দেননি তিনি। নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কটা খারাপ হয়ে যায় এরপর।
ড্রেসিংরুমে গিয়ে কোচকে গালাগাল করেছিলেন নেইমার। শাস্তি হিসেবে তাকে পরের ম্যাচে বাদ দিয়ে মাসিক বেতনের এক-তৃতীয়াংশ জরিমানা করেছিলেন দোরিভাল। তবে সান্তোসের বোর্ড সভায় সবাই নেইমারের পক্ষ নিলে চাকরি হারান তিনি।
সেই দোরিভাল এখন ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ। রিও ডি জেনিরোয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সদর দপ্তরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে গতকাল। সেখানেই উঠে নেইমারের প্রসঙ্গ। কারণ ২০১০ সালের সেই তরুণ নেইমার এখন পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
নেইমারের প্রশংসা করলেন দোরিভালও। তবে ইনজুরিতে থাকায় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়টিকে ছাড়াই খেলার প্রস্তুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি, ‘‘নেইমারকে ছাড়াই খেলার অভ্যাস করতে হবে ব্রাজিলকে। কারণ ওর ইনজুরি আছে। মানতেই হবে বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন নেইমার। ওর সেরাটাও নিতে হবে।’’
ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে নেইমার এখন সৌদির ক্লাব আল হিলালে। তাতে কোন সমস্যা নেই দোরিভালের,‘‘ যত দিন নেইমার ফিট আছে আর মনোযোগী থাকবে, নেইমারকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই তত দিন। ওর সঙ্গে আমার কখনো কোনো সমস্যা ছিল না। দেখা হলে ইতিবাচক কথা হয় দুজনের।’’
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ও ঝড়ল দোরিভালের কণ্ঠে, ‘‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবল অনেক শক্তিশালী। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল থেকেই আমরা জয়ের পথ দেখা শিখেছি। সেসব মুহূর্ত ফিরিয়ে আনা দরকার আবারও।’’
ব্রাজিলিয়ান দল নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে গত কয়েক বছরে। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করা দোরিভাল তেমন বিতর্কিত কিছু না করারই প্রতিশ্রুতি দিলেন,‘‘ ফেলিপে, তিতে ও দিনিজের দল বাছাই নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আমার বেলায় হবে না। কারণ এটা আমার দল না, ব্রাজিলের মানুষের দল।’’