দেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ হলেই পোশাকশিল্প বেঁচে থাকবে বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখী চারটি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত জানান।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ একটি প্রতিনিধিদল ফতুল্লা অ্যাপ্যারেলস পরিদর্শন করেন। পরে বিসিক শিল্প নগরীর আমেনা গার্মেন্টস, এমভি নিটিং ডাইং ও এমএস নিটিং ডাইং কারখানা পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদলটি। এ সময় দলের সদস্যরা কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “তৈরি পোশাকশিল্প আমাদের জন্য গর্বের। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তৈরি পোশাকশিল্প অবদান রাখছে। যারা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে, সেই মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে আমরা সব সময় চিন্তিত থাকি। এ শিল্প যদি সঠিকভাবে থাকে তাহলেই তা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।”
ড. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা দেখে থাকি যারা প্রান্তিক তারাই নানা সমস্যায় ভোগেন। এখানে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ঠিক আছে কি না, শ্রমিকরা সঠিক সময় মজুরি পাচ্ছেন কি না, সেটা (মজুরি) আবার যথাযথ কি না সে বিষয়ে পরিদর্শনের সময় খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। এছাড়া শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লে তা মুখ খুলে বলতে পারেন কি না, তাদের নিরাপত্তা কতটুকু এ নিয়ে কথা হয়েছে শ্রমিকদের সঙ্গে। এখানকার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদের কর্মপরিবেশ ভালো, সঠিক সময়ে মজুরি পাচ্ছেন এবং মজুরি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।”
এ সময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব গ্রিন কারখানা থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকায় পোশাক কারখানাগুলো বিশৃঙ্খলা-অসন্তোষ এড়িয়ে চলছে উল্লেখ করে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, পোশাকশিল্পে পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশকে এক নম্বরে আনার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।