ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এখনও পেশাদারত্বের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয়েছিল ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার : কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা। সেখানেই এসব কথা বলেছেন উপদেষ্টা।
নিজের বক্তব্যে সংবাদ মাধ্যমে পেশাদারত্বের প্রসঙ্গ টানেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা কেন পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পেশাদারত্বের সংস্কৃতি অনুপস্থিত। গড়ে ওঠেনি গণমাধ্যম সক্ষমতা।
“অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে।”
এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি বলে মনে করেন তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “সামনের দিনগুলোয় সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা জানান, অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গঠিত হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ওয়েজবোর্ডসহ সাংবাদিকদের বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
“আন্দোলনের সময় মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করলেও হাউজ পলিসির কারণে গণমাধ্যমগুলো সেসব সংবাদ প্রকাশ করেনি। ওই সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া কী প্রচার করেছে, তা দেশের মানুষ জানে। এই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধও দেখা যায়নি।”
মুক্ত আলোচনায় আরও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরীসহ অন্যরা। মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জিমি আমির।