এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যাবেন।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যতটা সম্ভব ব্যয় কমানো হবে।”
এই মাসের শেষের দিকে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে আপনারা দেখতে পাবেন ব্যয় কতটা কমানো হলো।”
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে মে মাসে সরকারি খরচে হজে যান ৭১ জন। আগের বছর সরকারি খরচে হজে যান ২৩ জন।
সরকারি খরচে হজে যাওয়া যাত্রীদের বিমান ভাড়ার বাইরে সব খরচ সরকার বহন করে। এতে একেকজনের পেছনে সরকারের খরচ হয় অন্তত চার লাখ টাকা।
২০২৫ সালের হজে যেতে বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার জনের কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। তবে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র ৪ হাজার ৭৬৯ জন। আর প্রাক নিবন্ধন করেছেন সরকারি-বেসরকারি মিলে সাড়ে ৬৪ হাজার জন। কোটার বিপরীতে সাড়া মিলছে খুবই কম।
এবছর হজের প্রাথমিক নিবন্ধন আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রাক-নিবন্ধিত তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে।
আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি হজের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে মে মাসে।