Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উপদেষ্টা। ছবি : পিআইডি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উপদেষ্টা। ছবি : পিআইডি
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

বাংলাদেশের পক্ষে নতুন করে আর কোনও রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এই বক্তব্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারকেও (ইউএনএইচসিআর) ঢাকার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “এই অনুরোধ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।”

যেসব দেশ ও সংস্থা আরও রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণের সুপারিশ করবে, তাদেরকে এই বোঝা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে, যুক্ত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

মানবিক কারণে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে আসে বা যারা আমাদের পরামর্শ দিতে চায়, তারা যেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায়।”

মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত করা কঠিন জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “সরকার যেখানে সম্ভব সেখানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে।”

গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও জানান তিনি।

মিয়ানমারে জাতিগত নিধন শুরু হলে সামরিক জান্তার হাত থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ঢল নামে। এক পর্যায়ে ২৫ আগস্ট সরকারি সিদ্ধান্তে তাদের জন্য খুলে দেওয়া হয় সীমান্ত।

এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পরে এসেছে। এ ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের সুস্পষ্ট উদাহরণ’ বলেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছে।

মিয়ানমার তাদের এই নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে দুইবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও নিজের দেশে ফেরানো যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত