নরেন্দ্র মোদী যে ৭২ জনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় ইনিংস শুরু করলেন, তার মধ্যে একজনও মুসলিম নেই।
শত কোটি মানুষের দেশ ভারতে মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের মতো মুসলমান। হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির আগের সরকারগুলোতে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব ছিল।
কট্টর হিন্দুদের নেতা মোদী ২০১৪ সালে যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন মন্ত্রিসভায় রেখেিছলেন নাজমা হেফতুল্লাহকে। তাকে করা হয়েছিল সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী।
২০১৯ সালে মোদীর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারে মন্ত্রী করা হয়েছিল মুখতার আব্বাস নাকভিকে। তাতে একই দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
নাকভি এর আগে বিজেপি নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ীর সেই সরকারে দুজন মুসলমান মন্ত্রী ছিলেন; তারা হলেন- শাহনেওয়াজ হুসাইন ও ওমর আবদুল্লাহ।
মোদী এর আগের দুবারই বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করেছিল। এবার তাকে সরকার গঠন করতে হয়েছে জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে। কারণ বিজেপি এককভাবে সরকার গঠনের মতো ২৭২ আসন পায়নি।
ভারতের প্রথম সরকার প্রধান জওহরলাল নেহেরুর রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে রবিবার টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মোদী। সেই সঙ্গে তার নতুন সরকারের ৭২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও শপথ নেন।
এই ৭২ জনের মধ্যে ১১ জনকে মোদী নিয়েছেন তাদের জোট এনডিএভুক্ত নয়টি দল থেকে। সব মিলিয়ে কোনও মুসলিম সদস্যের ঠাঁই হয়নি এই মন্ত্রিসভায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট থেকে কোনও মুসলমান এমপি হননি। এটা মন্ত্রিসভায় কোনও মুসলমান না থাকার কারণ হতে পারে।
৫৪৫ আসনের লোকসভায় এবার মোট ২৪ জন মুসলমান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের ২১ জনই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী। এর বাইরে একজন হলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। বাকি দুজন আব্দুল রশিদ শেখ ও মোহাম্মদ হানিফা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তারা জম্মু-কাশ্মিরের।