আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে পটকা, আতশবাজি ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্টে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগত জায়গাগুলোতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম মোতায়েন থাকবে।
সভায় আরও জানানো হয়, বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো যাবে না। দুটি দিনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিংও জোরদার করা হবে।
সভায় সারাদেশে থাকা গীর্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাগুলোতে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করা হয়।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ণ বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আলমগীর আলম বলেন, খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে, নির্বিঘ্নে উদযাপনে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে ও সুন্দরভাবে পালিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
