বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডন যাওয়ার চেষ্টা করছেন– এমন আলোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সঙ্গে কথা বলেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলেছে, আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের খোঁজে কোনও ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমোদন দেয় না দেশটির অভিবাসন আইন।
এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ হচ্ছে, আশ্রয়প্রত্যাশী ব্যক্তিকে তার পক্ষে ‘প্রথম নিরাপদ যে দেশে যাওয়া সম্ভব’ সেখানে যেতে হবে।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা সেখান থেকে লন্ডনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে এর আগে এক প্রতিবেদনে জানায় এনডিটিভি। এরপর আরেক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের বক্তব্য পাওয়ার কথা জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের একজন মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেছে, “সুরক্ষা প্রয়োজন এমন লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্ব করার মতো একটি রেকর্ড রয়েছে। তবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয় নেওয়ার জন্য কাউকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার কোনও বিধান নেই।”
তিনি বলেন, “যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজন তাদের উচিত তাদের পক্ষে প্রথম যে দেশে যাওয়া সম্ভব সেখানে গিয়ে প্রথমে আশ্রয় চাওয়া – নিরাপত্তার জন্য এটিই দ্রুততম পথ।”
অবশ্য সূত্রগুলোর ইঙ্গিত, আশ্রয় চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে ডেইলি সানে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপাতত ভারতে থাকার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য। যুক্তরাজ্য তার আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ভারতে থাকতে পারবেন তিনি। এই সময়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত তার ছোট বোন শেখ রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা।