নোয়াখালীর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই দলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন। প্রাণ হারানো তরুণের নাম সৌরভ হোসেন সাজ্জাদ (২০)।
সোমবার দুপুরে নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাঁধেরহাট পূর্ব বাজারে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। সৌরভ নোয়ান্নই ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. সবুজের ছেলে।
এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরও চারজন। আহতরা হলেন নাজিম উদ্দিন (১৮), মো. রাকিব (২৫), মো. রিয়াদ হোসেন (২২) ও মো. রাজীব হোসেন (২৪)। তারা সবাই একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়ান্নই ইউনিয়নের সিফাত ও রিয়াদ নামে দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাজ্জাদসহ পাঁচজন আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষই গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়ান্নয়ই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ কর্মী আশরাফুল করিম বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনায় রাকিব উদ্দিন (২৫), রিয়াজ উদ্দিন (২৩) ও আরিফ উদ্দিন (২৫) নামে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি থানায় মামলা দায়েরেরও প্রস্ততি চলছে।
তবে এ বিষয়ে আশরাফুল করিম বাবুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।