Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট খুন

শাহেদুজ্জামান পলাশ
শাহেদুজ্জামান পলাশ
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহেদুজ্জামান পলাশ (৩৫) পূর্ব মির্জানগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কে বা কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কাঁচি প্রতীকের আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জানান, শাহেদুজ্জামান পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন থেকে নৌকার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা শাহেদুজ্জামানকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানিক।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের মোরশেদ আলম। তার দাবি, তিনি গত ১০ বছর সংসদ সদস্য থাকাকালে এলাকায় কোনও ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড না ঘটলেও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের খালি জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় শাহেদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। তার কপাল ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সোনাইমুড়ী থানায় অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শাহেদুজ্জামান একসময় বিদেশে থাকতেন। দেশে আসার পর এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। স্ত্রী নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দিনে নিজের বাড়িতে আসতেন এবং খামার দেখাশোনা করতেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুঠোফোনে ভিডিও কলে শাহেদুজ্জামানের সঙ্গে তার স্ত্রীর সর্বশেষ কথা হয়েছিল।

তিনি জানান, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, নিহতের নাকের পাশে ও মাথার পেছনে যে আঘাতের চিহ্ন, তাতে মনে হচ্ছে খুব কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রবিবারের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলম ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। স্বতন্ত্র (কাঁচি) প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া পান ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত