Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

সুবর্ণচরে এবার মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুবর্ণচরের চরজব্বর থানা।
সুবর্ণচরের চরজব্বর থানা।
[publishpress_authors_box]

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাঁচ বছর আগে ভোটের রাতে ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায়ের দিনেই ঘটল ধর্ষণের আরেকটি ঘটনা।

উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে সোমবার মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে এক নারী এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে বলে মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্তার অনুপস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ওই নারীদের টিনের তৈরি বসতঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে। এরপর ওই ব্যক্তি দরজা খুলে দিলে ঘরে ঢোকেন আরও দুজন।

তখন ওই গৃহবধূ (৩০) ‘চোর’ বলে চেঁচিয়ে উঠলে তার মুখ, হাত ও পা বেঁধে ফেলা হয়। পাশের কক্ষে থাকা তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকেও দুর্বৃত্তরা বেঁধে ফেলে।

এরপর তারা পালাক্রমে ওই নারী ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

ওই ঘর থেকে এক জোড়া কানের দুল, দুটি নাকফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকাও দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

ওই নারীর ভাই জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন দিলে চরজব্বর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নানা আলামত জব্দ করে।

ওই নারীর ও তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে।

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্ত দুজনকে ওই নারী ও তার মেয়ে চিনতে পারার কথা জানিয়েছেন। তাদের একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, এই ঘটনায় যেই জড়িত হোক না কেন, তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমে পড়েছে।

২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর রাতে সুবর্ণচরে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় অভিযোগের তীর ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে, যিনি তখন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন।

সোমবার সেই মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় নোয়াখালীর আদালত। সেই রায়ের দিনই ঘটল আরেকটি ধর্ষণকাণ্ড।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত