২০২৩ সালটা দুর্দান্ত কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার। তাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ট্রাভিস হেডও খেলেছেন নিজের সেরাটা। আর ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির পাশাপাশি অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। এরই স্বীকৃতি পেলেন তারা। আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের ‘স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি’ অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছেন এই চারজন।
ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া) : ৩১ ম্যাচে ১৬৯৮ রান
ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপে ছিলেন অনিশ্চিত। যোগ দিয়েছিলেন একেবারে শেষ বেলায়। তাতেই আলো কেড়েছেন ট্রাভিস হেড। ম্যাচ সেরাার পুরস্কার জিতেছিলেন সেমিফাইনাল ও ফাইনালে। গত বছর ওয়ানডেতে তার ৫৭০ রানের ৩২৯ করেছিলেন বিশ্বকাপে। বছরজুড়ে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৩.১৭।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করে হেডই গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত। বছর জুড়ে টেস্টে তার রান ৯১৯। ২০১৫ সালের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ‘স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি’ জয়ের অন্যতম ফেভারিট তাই হেড।
প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া) : ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট ও ৪২২ রান
কামিন্সের নেতৃত্বেই প্রথমবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর জিতেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপও। সেই টুর্নামেন্টে প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও টানা নয় জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল কামিন্সের। ফাইনালে ৩৪ রানে ২ উইকেট ছিল তার।
টেস্টে দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ১০ বা বেশি উইকেট। প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতেও করেছেন রান।
বিরাট কোহলি (ভারত) : ৩৫ ম্যাচে ২০৪৮ রান
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টে খেলেছিলেন ১৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস। ২০১৯ সালের পর যা ছিল টেস্টে কোহলির প্রথম সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে করেছিলেন ৬টি সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকারকে। বিশ্বকাপে করেছিলেন ৭৬৫ রান, যা এই টুর্নামেন্টে এক আসরে সর্বোচ্চ।
রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত) : ৩৫ ম্যাচে ৬১৩ রান ও ৬৬ উইকেট
চোট কাটিয়ে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। জাদেজার অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সে সিরিজটা জিতে ভারত। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭০ রান। ওভালের ফাইনালেও করেছিলেন আক্রমণাত্মক ৪৮।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে জাদেজা নেন ২৪.৮৭ গড়ে ১৬ উইকেট। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩ রানে ৫ উইকেট তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারেরই সেরা।