Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইউক্রেনে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ‘পাশে থাকবে’ উত্তর কোরিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই। ছবি - রয়টার্স
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই। ছবি - রয়টার্স
[publishpress_authors_box]

ইউক্রেন যুদ্ধে জয় না পাওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

শুক্রবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী  চোয়ে সন হুই।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার কয়েক হাজার সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে জোর আলোচনার চলছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।

তবে সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই মস্কোর পাশে শেষ পর্যন্ত থাকার প্রতিশ্রুতি এল পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে।

শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তার দেশের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে।

দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যগত, ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, যা ইতিহাসের পরীক্ষিত পথ পেরিয়ে এসেছে, আজ … অপরাজেয় সামরিক ভ্রাতৃত্বের একটি নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে।”

চোয়ে সন হুই বলেন, উত্তর কোরিয়ার কোনও সন্দেহ নেই যে পুতিনের “বিজ্ঞ নেতৃত্বে” রুশ সেনাবাহিনী ও জনগণ তাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য “পবিত্র সংগ্রামে মহান বিজয় অর্জন করবে।

“এবং আমরা এটাও নিশ্চিত করছি যে, বিজয়ের দিন আসার আগ পর্যন্ত আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে আমাদের রুশ বন্ধুদের পাশে থাকব।”

লাভরভ দুই দেশের সেনাবাহিনীর “অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের” কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি একসঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সমাধান করতে তাদের সক্ষম করে তুলেছে।

তবে বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাদের পশ্চিমা মিত্র নেতাদের সেই বিবৃতি নিয়ে কিছু বলেননি, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পিয়ংইয়ং প্রায় ১০ হাজার সৈন্যকে রাশিয়ায় মোতায়েন করেছে ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, প্রায় ৮ হাজার উত্তর কোরীয় সৈন্য কুরস্ক অঞ্চলে রয়েছে, যেখানে আগস্টে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রাশিয়ায় একটি চমকপ্রদ আক্রমণ চালায়।

কুরস্ক অঞ্চলে অবস্থানরত উত্তর কোরীয় সৈন্য কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যোগ দিতে পারে বলেও আভাস দেন ব্লিনকেন।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, “ন্যাটোকে পূর্বদিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের প্রচেষ্টার ফলে ইউক্রেকে যেসব ঘটনা ঘটছে তার জন্য আমাদের কোরীয় বন্ধুদের নীতিগত অবস্থানের প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।”

ওয়াশিংটন ও সিউলের হুমকির কথা উল্লেখ করে চো লাভরভকে বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে “বিস্ফোরক” হয়ে উঠতে পারে।  তবে তিনি তার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ দেননি।

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী ও নিখুঁত করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং নিশ্চিত করে যে, তার দেশটির পূর্ব উপকূলে নতুন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কর্তৃপক্ষ বলেছে, উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত যত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে উড়েছে সর্বশেষ ছোড়া আইসিবিএম।

উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা সর্বশেষ যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বা আইসিবিএমের পরীক্ষা চালিয়েছে তা ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র’।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত