Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এবার চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

chinmoy..
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার চট্টগ্রামের প্রথম মহানগর হাকিম আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। পেশায় ব্যবসায়ী এনামুল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন কর্মী বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি নিয়ে শুনানির জন্য আবেদনটি অপেক্ষামান রেখেছেন; ফলে মামলাটি এখনও আদালত গ্রহণ করেনি।

বিএনপির সাবেক এক নেতার করা রাষ্ট্রদোহের মামলায় বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।

তাকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।

তবে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় পাঁচটি মামলা হলেও তার একটিতেও চিন্ময় কৃষ্ণকে আসামি করা হয়নি। যদিও চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীদের একটি পক্ষ সবগুলো মামলায় চিন্ময় কৃঞ্চকে প্রধান আসামী না করলে আন্দোলন চালিযে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ওই ঘটনার পর এই প্রথম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামী মামলার আবেদন করা হলো।

বাদীর আইনজীবী শামসুল আলম বলেন, “গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার সময় এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ী মারধরের শিকার হন। দাঁড়ি-টুপি থাকায় চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা তাকে মেরে ডান হাত ভেঙে দেয়। এছাড়া তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয়।

“এ ঘটনায় চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শুনানির জন্য অপেক্ষামান রেখেছেন।”

এত দেরি করে কেন মামলা করা হলো তা জানতে চাইলে শামসুল আলম বলেন, “এনামুল হক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফলে সুস্থ হয়ে মামলা করতে সময় লেগেছে। আসামিদের ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বিচারক বাদীর বক্তব্য শুনলেও কোনও আদেশ দেননি।”

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে সেদিন আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসময় মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০ জনকে। যার মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। আটক হয়েছেন প্রধান সন্দেহভাজন আসামীও।

গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত