এবার প্রবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন মাহমুদ শাহ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে পদত্যাগ করলেন।
এর আগে গত বছর চার ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজনকে নিজ পদে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবি ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কয়েকজন পরিচালকের চাপে ব্যাংকটিতে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঋণ অনুমোদন হয়, যা নিয়মিতভাবে আদায় হচ্ছে না।
সম্প্রতি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়, যার বেশির ভাগই বেনামি ঋণ।
এই বেনামি ঋণের জের ধরেই এমডি পদ ছেড়েছেন কি না- জানতে চাইলে মামুন মাহমুদ শাহ তা স্বীকার করেননি।
সকাল সন্ধাকে তিনি বলেন, “ব্যাংকটিতে কাজের পরিবেশ না থাকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছি।” এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রবাসীদের উদ্যোগে গঠিত যে তিনটি ব্যাংককে দেশে ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে অনুমোদন দেয়, তার মধ্যে একটি এনআরবি ব্যাংক।
তিন ব্যাংকের মধ্যে এনআরবি ব্যাংকটিই প্রকৃত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত হয়। অন্য দুটির সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও যুক্ত ছিলেন।
এনআরবি ব্যাংক প্রবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত হলেও এখন পরিচালকদের অনেকে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
আবার ব্যাংকটির মূল উদ্যোক্তাদের অনেকে ব্যাংক থেকে দূরে সরে গেছেন। ফলে একটি পক্ষের হাতে পুরো ব্যাংকটি জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে গত তিন বছরে ব্যাংকটির বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি হয়। এর মধ্যে এমডি পদত্যাগ করলেন।
যোগাযোগ করা হলে এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এমডি সাহেব পায়ে ব্যথা পেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। এ জন্য মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ব্যাংক ছেড়ে দিয়েছেন।
“উনি ভালো মানুষ। ব্যাংকের অনেক উন্নতি করেছেন। প্রয়োজনে আমরা আবারও তাকে এমডি করতে পারি।”