অনেকটা হঠাৎ করেই শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে এল কর্মসূচির ঘোষণা। সেখানে শহীদ নূর হোসেন দিবস পালন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণা দেওয়া হয়, রবিবার বিকাল ৩টায় ঢাকার জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলেরও।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা গেছে। বিশেষ করে শীর্ষ নেতৃত্ব একেবারেই লোকচক্ষুর আড়ালে অথবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে বন্দি হয়ে কারাগারে।
এ অবস্থায় দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করায় রীতিমতো ‘তোলপাড়’ শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই সঙ্গে আসতে থাকে পাল্টা কর্মসূচিও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নূর হোসেন দিবসে কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আসে ‘ফ্যাসিস্ট দল’ হিসেবে আওয়ামী লীগকে প্রতিহতের ঘোষণাও।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ফেইসবুক একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ কোনও জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই জিরো পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা তৈরি হয়। দেশে মোতায়েন করা হয় ১৯১ প্লাটুন বিজিবি।
তবে ঘোষণা দিলেও দিনভর নূর হোসেন চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোনও উপস্থিতি দেখা যায়নি। বরং সেখানে ছিল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি।
অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সেখানে পাল্টা সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, “১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মিছিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।”
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত যাওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়তে হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। এরপর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে।
এমন পরিস্থিতিতে নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচি ঘোষণার পর গত দুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আওয়ামী লীগ। ফেইসবুকে ছড়িয়ে যায় অনেক গুজবও। জনমনে তৈরি হয় ভীতি।
যার মৃত্যুদিবসকে ঘিরে এই আয়োজন সেই নূর হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। যার বুকে-পিঠে সাদা রং দিয়ে লেখা ছিল, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক/স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
এরপর থেকে দিনটি ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।
যেভাবে পালিত হলো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
ফেইসবুকে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি দিলেও রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্থান এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তেমন কোনও অবস্থান দেখা যায়নি।
যদিও ফেইসবুকে প্রকাশিত কিছু ভিডিওতে ভোরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে ছোট ছোট মিছিলের দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী সমাবেশ প্রতিহত করতে কিছু সময় পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে শোডাউন দিয়েছেন।
সকালে নূর হোসেনের পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। দুপুর নাগাদ সেখানে সমাগম হয় ছাত্র-জনতার।
স্কুল কলেজের পোশাক পরিহিত কিছু শিক্ষার্থীকেও লাঠি হাতে সেখানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময় কারও কপালে ছিল বাংলাদেশের পতাকা বাঁধা, কারও মাথায় ছিল ‘জিন্নাহ টুপি’ হিসেবে পরিচিত টুপি এবং কারও কারও মাথায় বাঁধা ছিল কালেমা লেখা সাদা কাপড়।
নেতাদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে দর্শকের সারি থেকে ভেসে আসতে থাকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান।
সমাবেশে যুক্ত হওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকবার ধন্যবাদ জানানো হয় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে।
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। এছাড়া গুলিস্তান এলাকায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। পল্টন-প্রেসক্লাবসহ আশপাশের বিভিন্ন মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
প্রচুর জনসমাগম হলেও আশপাশের এলাকায় সারাদিনই যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে পুরো এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি জলকামান এবং এপিসিও তৈরি ছিল।
মাঠে নেই, ফেইসবুকে সরব
মাঠে না এলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে সরব ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই কর্মসূচি নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট এসেছে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে।
একটিতে নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করতে বলা হয়, ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উপস্থিত থাকবে তাই সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারবে না।আন্তর্জাতিকভাবে এমনিতেই তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) চাপে আছে।
এমন তথ্য সংবলিত ফটোকার্য পোস্ট করে নির্ভয়ে নেতাকর্মীদের নূর হোসেন চত্বরে আসার আহ্বান জানানো হয়। এর পরের পোস্টেই নেতাকর্মীরা কীভাবে নূর হোসেন চত্বরে যাবার পথে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর বাধা পেরোবেন, সে বিষয়ে দেওয়া হয় নানা নির্দেশনা।
তার পরের পোস্টে তারা দলে দলে সকলকে ঢাকায় এসে কর্মসূচি সফল করতে বলা হয়।
একটি পোস্টে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াকে মানবধিকার হরণ উল্লেখ করে সরকারের আদেশ না মানতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এরপরেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ব্যবহার করে একটি পোস্টে পোশাক শ্রমিকদেরকেও তাদের দাবি নিয়ে নূর হোসেন চত্বরে যেতে আহ্বান জানানো হয়।
ভোর ৬টায় আওয়ামী লীগের পেইজের একটি পোস্টে বলা হয়, “আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আজকে আসবে নূর হোসেন হয়ে।”
সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় একাধিক পোস্ট এসেছে পেইজটিতে। সবশেষ রাত ৯টার দিকে এক নারীকে হেনস্তার ভিডিও প্রকাশ করে তার দায় দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
ছাত্রলীগ সন্দেহে পিটুনি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকলেও সারাদিনে সেভাবে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। তবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বেশ কয়েকজনকে ছাত্রলীগ সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক ব্যক্তিকে হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা তাকে বেধড়ক পিটুনি দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়।
বিকল ৩টারি দিকে বিক্ষিপ্তভাবে আওয়ামী লীগের ১২ জন নেতাকর্মীকে গুলিস্তান এলাকায় আসতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ কর্মী গণপিটুনির শিকার হন। মারধরের পর তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বাকি তিন নারীকর্মীকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ফিরে যেতে দেখা যায়।
বিকেল ৪ টার দিকেসমাবেশস্থল থেকে আরও দুই যুবককে গণপিটুনি দেয় ছাত্র-জনতা। পরে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এক যুবকের নাম রাকিব এবং অন্যজনের নাম আফজাল বলে জানা গেছে।
মারধরের শিকার আফজাল এসময় বলতে থাকেন, “আমি কিছু জানি না। এক বড় ভাই নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে আমাকে বলল, ছবি তুলবে। আমি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি। এরপর দেখি কয়েকজন এসে মারধর শুরু করেছে।”
অন্যদিকে বিকাল ৫টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রলীগ সন্দেহে ও সঙ্গে ককটেল আছে এমন অভিযোগ তুলে দুই যুবককে পিটুনি দেয় সেখানে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে নিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ
প্রতিবাদী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, “বিপ্লবী ভাইদের বলতে চাই, নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিভাজনগুলো এক পাশে রেখে, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে এরকম খুনি সংগঠন শুধু এই গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট না, বাংলাদেশের কোনও জায়গায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
“পুরো বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র জনতার কাছে আমার এই অনুরোধটি থাকলো। যতদিন আপনাদের ভোটে একটি গণতান্ত্রিক সরকার না হচ্ছে, ততদিন যদি ঐ স্বৈরাচার হাসিনার উৎপাত দেখা গেলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই একমত হবেন গত ১৬ বছরে আপনার যা বলার ছিল, যেটি প্রকাশ করার ছিল সেটি আপনারা করতে পারেননি। আমরা নিজের চোখে দেখেছি, কোন একটা সংবাদ যদি সরকারের বিপক্ষে যাবে বলে ডিজিএফআইয়ের মনে হতো, সেটি কিছু সময়ের মধ্যে সেটি পাল্টে যেত।
“আমরা চাই এই নতুন বাংলাদেশে, গত ১৬ বছর এবং শেষ ৩৬ দিনে যা হয়েছে, অপকর্ম সেগুলো সাহস নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন ভয় না নিয়ে আপনারা নির্দ্বিধায় সেগুলো তুলে ধরুন। আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি প্রত্যেকটা মিডিয়ার একটি করে উইং থাকুক, আপনারা আমাদের সেই আহত ভাইদের কাছে যাবেন। তাদের ব্যাথা বেদনাগুলো পুরো দেশসহ পৃথিবীর সামনে তুলে ধরুন।”
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ নাৎসি বাহিনীর থেকেও বেশি নৃশংস। বাংলাদেশে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যতদিন পর্যন্ত না বিচার নিশ্চিত হয়, ততদিন পর্যন্ত তাদের প্রকাশ্যে আসার কোনও অধিকার নেই।”
উপদেষ্টা বানাতেও পারি, উপদেষ্টা ফেলতেও পারি : রফিকুল ইসলাম মাদানি
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, যুবকদের হাত ধরে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা শত শত মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আপনারা খুব সহজেই ক্ষমতায় আসতে পারেন নাই। আপনারা কোনোভাবেই ভারত ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নমনীয়তা পোষণ করবেন না। এদেশের ছাত্র সমাজ তা মেনে নেবে না।
“আওয়ামী লীগ এবং ভারতের সঙ্গে কোনও নমনীয়তা চলবে না। আমরা উপদেষ্টা বানাতে পারি তেমনি উপদেষ্টা ফেলতেও পারি। আমরা আপনাদের ক্ষমতায় এনেছি, যেন আপনারা বিপ্লবের ভাষা বোঝেন। আমাদের পালস বোঝেন, আমাদের পালস ভারতবিরোধী। আপনাদের সেটি বুঝতে হবে।”