Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

নুর চলবেন ট্রাকে, মান্নার হাতে কেটলি

এক সমাবেশে নুরুল হক নুর ও মাহমুদুর রহমান মান্না।
এক সমাবেশে নুরুল হক নুর ও মাহমুদুর রহমান মান্না।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

ডাকসুর সাবেক দুই ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না ও নুরুল হক নুর দুজনই পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিতে পারছেন।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে তাদের দুটি দল নাগরিক ঐক্য ও গণঅধিকার পরিষদ।

সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমের স্বাক্ষরে এই দল দুটিকে নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দের আলাদা প্রজ্ঞাপন আসে।

মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য প্রতীক পেয়েছে কেটলি। নুরের দল গণঅধিকার পরিষদকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে ট্রাক।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী এই দল দুটি ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। কিন্তু ইসি তখন তাদের নিবন্ধন দেয়নি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর প্রেক্ষাপটে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ২৫ দিনের মাথায় ইসি নিবন্ধন দিল দল দুটিকে।

সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পেয়েছিল এবি পার্টি। তারপর গণঅধিকার পরিষদ এবং নাগরিক ঐক্য নিবন্ধন পাওয়ায় এখন ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ হলো।

এক সময়ের জাসদ নেতা মান্না পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০০৭-০৮ সালে সংস্কারপন্থি হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ ছাড়তে হয় তাকে।

পরে তিনি নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলে আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় নামেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জোটও গড়েন তিনি।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-চাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দুই বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর ভিপি ছিলেন। তখন তিনি বাসদ ছাত্রলীগে ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পরিচিত হয়ে ওঠা নুর ডাকসুর ভিপি হয়েছিলেন ২০১৯ সালে। পরের বছর তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। পরে দলটি ভেঙে যায়।

দলীয় কোন্দলের জেরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে এসে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় গণঅধিকার পরিষদ।

এরপর গত ২৮ আগস্ট নিবন্ধনের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য ইসিকে  সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছিল নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। দাবি না মানলে ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল দলটি।

২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে ইসি। তারপর থেকে নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে হলে নিবন্ধন থাকতে হয়।

বিভিন্ন সময়ে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। তার মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির নিবন্ধন পেতে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও তিন দফায় যাচাই শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের তালিকা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)  ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেবল নিবন্ধন পেয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত