ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি নুরুল হকের নুরের দল গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। দলটিকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ‘ট্রাক’।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব শফিউল আজমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এই নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি জানানো হয়।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রথমে নিবন্ধন পায় জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এবার নিবন্ধন পেল গণঅধিকার পরিষদও।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) বিধান অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদকে (জিওপি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলটির জন্য ট্রাক প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার পুরান পল্টনের বিজয়নগরের আল রাজী কমপ্লেক্সের ঠিকানা।
নতুন এই দলটির নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬টি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক এই পট পরিবর্তন দেশে নানা ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন নিয়ে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পায় এবি পার্টি। যার ১২ দিনের মাথায় নিবন্ধন পেল গণঅধিকার পরিষদ।
২০২১ সালের অক্টোবরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদ।
গণফোরামের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়াকে করা হয় পরিষদের আহ্বায়ক। আর সদস্য সচিব হন নুরুল হক নুর।
গত বছর রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে নুরুল হক নুরের বিরোধ দেখা দিলে একপর্যায়ে গণঅধিকার পরিষদ ভেঙে দুভাগ হয়ে যায়। তখন দলটির একাংশের নেতৃত্ব দেন রেজা কিবরিয়া। আর অন্য অংশের নেতৃত্বে থাকেন নুরুল হক নুর।
এ বছর ভোটের তিন দিন আগে হঠাৎ গণঅধিকার পরিষদের একাংশ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া।
গত বছর নিবন্ধন পেতে আবেদন করা হলেও দলীয় কোন্দলের জেরে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
গত মাসে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২৮ আগস্ট দলের নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য ইসিকে সাতদিন সময় বেঁধে দেয় নুরের গণঅধিকার পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন দেওয়া না হলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
আল্টিমেটামের পাঁচদিনের দিন দলটিকে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন।