ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পাকিস্তানের। বিশ্বকাপজয়ী লঙ্কান কিংবদন্তি অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সনাৎ জয়াসুরিয়ায় হয়েছিলেন সংসদ সদস্য। বাংলাদেশের নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসানরাও হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে মাশরাফি, সাকিবরা খেলা না ছেড়ে রাজনীতিতে আসায় সমালোচনা হয়েছে যথেষ্ট।
ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে এলে খেলাটা থেকে অবসর নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন তিনি। আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেটারদের রাজনীতি নিয়ে তিনি বললেন, ‘‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘কিছু মানুষকে নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। এমন মানুষ আসা উচিত না যারা খেলাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আসে। এখান থেকে রুটি-রুজি বের করে সংসার চালাতে হবে এমন কেউ সংগঠক হিসেবে যেন না আসে। আমরা ক্রিকেটার, খেলাধুলা করে টাকাপয়সা পাই। আলহামদুলিল্লাহ আজ আমার গাড়ি বাড়ি সব ক্রিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু সংগঠকরা যারা আসবে তাদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসা উচিত, ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসা উচিত। এখান থেকে বাড়ি গাড়ি করার কিছু নেই।’’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আসছেন না বোর্ডে। দেখা নেই অনেক পরিচালকেরও। তাতে আগামী বছর ভোটের আগে বোর্ডে আসতে পারে পরিবর্তনও। সেই পরিবর্তন নিয়ে সোহান জানালেন, ‘‘ফাহিম স্যারের মতো মানুষ যারা আছে তারা ক্রিকেটকে ভালোবাসে। এমন কোনো মানুষ আসা উচিৎ যাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ বা বিতর্ক নেই। আমি আশা করি ভালো মানুষ আসবে। এখনও বোর্ডে অনেক ভালো মানুষ আছে যারা কাজের সুযোগ পায়নি, এত মানুষের ভিড়ে মূল্য পাননি। তারাও সুযোগ পেলে ভালো করবে। সব রাজনীতিবিদ মানুষ এখানে আসছে। এটা তাদের জায়গা না।’’