Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

পাচার রোধে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ : কাদের

ss-kader-8-5-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

টাকা পাচার রোধ করতেই কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাচারের অর্থ সবার অজান্তে চলে যায়। এই ব্যবস্থায় সেই অর্থও মূল ধারায় ব্যাংকে ফিরে আসবে।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয় সরকার।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনও করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনও কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

এ ছাড়া, শেয়ার বাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। প্রস্তাব অনুযায়ী কোনও প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে।

১৫ শতাংশ কর দিয়ে সরকার অপ্রদর্শিত আয় অর্থনীতির মূল ধারায় আনার ব্যবস্থা করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এর ফলে ব্যাংকিং সিস্টেমে অর্থপ্রবাহ বাড়বে। অনেকের হাতে গোপন থাকা টাকা উদ্ধার করতে বাজেটে কালো টাকা সাদার করার সুযোগ আছে।”

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে অন্যায়, অবৈধ কাজের শাস্তি মওকুফের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তার মতে, “সেটা ফৌজদারী অপরাধ। সেটা প্রচলিত আইনেই হবে। বিভিন্ন কারণে অনেকের ট্যাক্স রিটার্নে সব সম্পদের বিবরণ থাকে না। এসব ভুল সংশোধন করার সুযোগ থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “অপ্রদর্শিত অর্থ, সম্পদ মূল ধারায় এনে ভবিষ্যতে সরকার রাজস্ব আহরণ অধিক পরিমাণে বাড়াতে চায়।”

স্বাধীনতার পরের অর্থবছর থেকে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গত বছর এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংগঠনটি জানায়, পাচার হওয়া অর্থের পাঁচ শতাংশ উদ্ধার করা গেলেও সরকার ৫৯ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা পাবে।

বাজেট প্রস্তাবনায় সরকার মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেনি একই সঙ্গে কালো টাকা সাদার করার সুযোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনে নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, “সিপিডি, টিআইবি, সুজন কী বললো- এসব নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। ওরা সবাই বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে।”

অর্থনীতিবিদরাও এখন ‘পোলারাইজড (মেরুকরণ)’ হয়ে গেছে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, “বিএনপির সর্বশেষ বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও বাজেটের আগে সাইফুর রহমান সাহেবকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ফোরামে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুঁলি নিয়ে। আমাদের সময়ে বাজেট পূর্ববর্তী সময়ে কোনও অর্থমন্ত্রীকে বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে হয়নি। এতে বুঝতে পারেন দেশটা কোথা থেকে কোথায় এসেছে।”

মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অংশের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও আমরা সক্ষম হব। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার, কৃষি, দেশীয় শিল্প ও সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত