ইংলিশ কিংবদন্তি লেন হাটনের পর টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে মুশফিকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আজ (রবিবার) জাতীয় ক্রিকেট লিগে একই আউট হলেন মার্শাল আইয়ুব।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে ঢাকা মহানগরের এই ব্যাটার হন অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট।
কামরুল ইসলামের করা ১১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভারে ঠেলে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন মার্শাল। ফিল্ডারের ছুড়ে দেওয়া বল নন–স্ট্রাইকিং প্রান্তে লাগে মার্শালের গায়ে। আবেদন করেন বোলার ও ফিল্ডার দুজনই। আম্পায়ারের কাছে মনে হয়েছে মার্শাল রানআউট হওয়া থেকে বাঁচতে এমন করেছেন ইচ্ছা করে। তাই আবেদনে সাড়া দিয়ে মার্শালকে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট দেন তিনি।
ঢাকা মহানগরে অধিনায়ক মার্শাল আউট হন ১২৭ রান করে। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে এটা তার ২৫তম সেঞ্চুরি। আইচ মোল্লা করেন ১২২ রান, এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। ঢাকা ইনিংস ঘোষণা করে ৫ উইকেটে ৪০৮ রানে। জবাবে বরিশাল দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ২২ রানে।
২০১৭ সালে হ্যান্ডলড দ্য বল আউটকে এমসিসি অন্তর্ভুক্ত করে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের। মুশফিকের মত মার্শাল হাত দিয়ে বল ধরে নয়, আউট হয়েছেন রান আউট থেকে বাঁচতেই।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মুশফিকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এভাবে আউট হয়েছেন চার জন। ২০০১-০২ মৌসুমের জাতীয় লিগে ওয়ানডে ফরম্যাটে মাহবুব আলম, ২০০২-০৩ মৌসুমে নুরুজ্জামান, ২০১৯-২০ মৌসুমে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মোহাম্মদ নাঈম আর ২০২৩-২৪ মৌসুমের ডিপিএলে কাজী অনীক হয়েছিলেন অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট।
ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে ২০২১ সালে এভাবে আউট হন দুই বাংলাদেশি ইয়াসিন আরাফাত ও নুরুল হাসান।