Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমলাদের কমফোর্ট জোনে না আনলে অফিস চলবে না : পার্থ

বুধবার রাতে বঙ্গভবন থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আন্দালিব রহমান পার্থ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বুধবার রাতে বঙ্গভবন থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আন্দালিব রহমান পার্থ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমলাদের ‘কমফোর্ট জোনে’ নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি এও বলেছেন,আমলাদের কমফোর্ট জোনে না আনলে সরকারি অফিস চলবে না।

বুধবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ে আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন-পীড়নের শিকার হওয়ার পর গত শনিবার সরকার পতনের এক দফা দাবি তোলে। তার দুই দিনের মাথায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মহাখালী সেতু ভবনের অগ্নিকাণ্ডের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন পার্থ। পরে সরকারের পতন হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাহী আদেশে আন্দোলনের মধ্যে গ্রেপ্তার সকলকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিজেপি নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

গণতন্ত্র আনলাম, কিন্তু অর্থনীতি ভেঙে পড়ল– এমনটা যেন না হয় সে জন্য রাষ্ট্রপতিকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে বলেছি– ১৫ বছর চাকরির কারণে অনেক আমলা আওয়ামী লীগ ছিল। আবার অনেক প্রফেশনাল ছিল। তাদের মনের মধ্যে ভীতি দাঁড়াচ্ছে। আমলাদের যদি কমফোর্ট জোনে না আনেন তাহলে সরকারি অফিস চলবে না এবং কোনও কাজ হবে না। এই তিন-চারমাসে রাষ্ট্র জানি কোনও ধাক্কা না খায়। মানুষের যেন কোনও অসুবিধা না হয়।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা আকৃতি পেয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না। সারা বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে এই রাজনীতিবিদ বলেন, “রাষ্ট্রপতির জায়গাটা এখানে ক্রুশিয়াল। আমরা তো গণতান্ত্রিক পার্টি। ওনারা যদি মনে করে তিনমাসের জায়গায় বেশি করতে চায়। দে ম্যাস্ট হ্যাভ এ ভ্যালিড রিজন। কেন তারা করতে চান? কিসের জন্য করতে চান? কী কী আসবে? প্রত্যেকটা সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে কথা বলেই যদি এটা করে তাহলে বেটার হবে।

তবে এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলেও জানান বিজেপি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “পাঁচ বছর, আট বছর বা ১০ বছর না। প্রশ্নটা হলো আপনি যে পরিবর্তন আনতে চান সেগুলো সাংবিধানিক পরিবর্তন। এটা কি আপনি অর্ডিন্যান্স করে পরবর্তী সরকার দিয়ে ঠিক করবেন। কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতেই হবে। “

বর্তমান যে অর্জন তা ছাত্ররা এনেছে মন্তব্য করে পার্থ বলেন, ছাত্র  ও রাজনীতিবিদদের মাধখানে সেতুবন্ধন হওয়া উচিত।

“তাদের ডিমান্ড ভ্যালিড। পাঁচ বছর, তিন বছর সময় দিতে চাই না। করতে চাইলে ১ বছরেও করতে পারি। আবার তিনমাসেও করতে পারি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত