রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদধারীদের চেয়ার ছাড়তে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এসব পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের পরিবর্তে নিজেদের পছন্দের লোকদের নতুন করে নিয়োগও দেওয়া শুরু করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার।
এই সময়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের চাপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসে।
তাছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও এসেছে পরিবর্তন। পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে কোনও কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজে থেকেই শুরু করেছে সংস্কার।
বাংলাদেশ ব্যাংক
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরদিন শুক্রবার পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
এর পরপরই ডেপুটি গভর্নর কাজী ছায়েদুর রহমান, মো. খুরশীদ আলম ও পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফরাহ মো. নাসেরের পদত্যাগপত্র গ্রহণের মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়োগ বাতিল করে সরকার।
গত ১৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয় অর্থনীতির গবেষক ড. আহসান এইচ মনসুরকে। এর পাশাপাশি একটি সার্চ কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেওয়ার কাজ করছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক
চেয়ার নড়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানদেরও। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের মধ্যে দিয়ে অনেকে পদ ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ রাজনৈতিক রোষানলের ভয়ে সরে গেছেন দায়িত্ব থেকে।
গত ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন কাজী ছানাউল হক। ওইদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদাকে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
গত ২০ আগস্ট রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে সরকার। জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ২০১৯ সালে প্রথম সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের আগস্টে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ২০০৬-২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন।
একইদিন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মো. জামিনুর রহমানের নিয়োগ বাতিল করে সরকার।
বড় পরিবতন ন্যাশনাল ব্যাংকে
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে। ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমান। পুনর্গঠিত পর্ষদের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যাংকটির পুরোনো উদ্যোক্তা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
ব্যাংকটির শেয়ারধারী জাকারিয়া তাহেরও পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কুমিল্লায় বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্যের বাবা এ কে এম আবু তাহের ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এক সময়।
উদ্যোক্তা শেয়ারধারী মোয়াজ্জেম হোসেনও নতুন করে পরিচালনা পর্ষদে এসেছেন। তিনি হোসাফ গ্রুপের কর্ণধার। একই সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকে চারজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরা হলেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, সীমান্ত ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুখলেসুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আব্দুস সাত্তার সরকার।
আগের পর্ষদের বাদ পড়া অন্য পরিচালকরা হলেন– সিকদার ইন্স্যুরেন্সের মনোনীত পরিচালক সফিকুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম তফাজ্জল হক, রাঙ্গুনিয়ার ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ, আইনজীবী আহসানুল করিম, বিএসইসির সাবেক কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, চট্টগ্রামের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ড. রত্না দত্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদা।
ইসলামী ব্যাংক
গত ২১ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরদিন (২২ আগস্ট) ব্যাংকটির দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বতন্ত্র পরিচালকদের কাছে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। তিনি এর আগের সোনালী ও রূপালী ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ তিনি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এর আগে ছিলেন ব্যাংকের চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী এস এ মাসুদের ছেলে আহসানুল আলম।
পরিচালনা পর্ষদ বাতিল হওয়ার আগে গত ১৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ইসলামী ব্যাংকের ছয় ডিএমডিসহ মোট আট জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন– অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যামেলকো প্রধান তাহের আহমেদ চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিটের (আইবিটিআরএ) প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলাম।
এখন পর্যন্ত কেবল ইসলামী ব্যাংক থেকেই এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
গত বুধবার (২১ আগস্ট) বেসরকারি খাতের শরিয়াহভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। ২১ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
ওইদিন পর্ষদ সভায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ব্যাংকটির আরেক পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
গত ১৮ আগস্ট আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন সেলিম রহমান। তিনি কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে। তার আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুস সামাদ, তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের (এস আলম) ভাই।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলো নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্রেক্ষাপটে নিজেই পদ ছেড়ে দেন আবদুস সামাদ লাবু।
ইউসিবি
সরকার পরিবর্তনের পর শেয়ারধারীদের বিক্ষোভের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চেয়ারম্যান পদেও। নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন রোকসানা জামান চৌধুরী, তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বোন। এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী রুখমিলা জামান।
ইউসিবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বাবা ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী। শুরু থেকে ব্যাংকটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ হাসেম। তারা বিভিন্ন সময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সাল পর্যন্ত উভয়ের পরিবারের সদস্যরাই ব্যাংকটিতে যুক্ত ছিলেন ও নেতৃত্ব দেন। কিন্তু ২০১৭ সালে পারটেক্স গ্রুপের সদস্যদের ইউসিবি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন রুখমিলা জামান। তবে রুখমিলা জামান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় ব্যাংকটি মূলত সাইফুজ্জামান চৌধুরীই পরিচালনা করে আসছিলেন।
অন্যান্য ব্যাংকেও অস্থিরতা
জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে প্রায় ১৫টি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়। যার সবগুলোই রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে প্রায় সব ব্যাংকই আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। যেসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে পদধারী নেতা ও সাবেক এমপিরা রয়েছেন, তারা পটপরিবর্তনের পর পদ ছাড়ছেন।
আরও কয়েকটি ব্যাংকে একই ধরনের পরিবর্তনের আলোচনা চলছে। বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংক এখন সরকারের ৩২ শতাংশ শেয়ার থাকার বিষয়টি জোরেশোরে প্রচার করছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, গত ১০ বছরের বেশি সময় ব্যাংকটি এককভাবে চালিয়েছেন তিনি। সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপি হওয়ার কারণে ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন তার ছেলে সায়ান এফ রহমান।
এছাড়া সরকার পতনের পর বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই নাসা গ্রুপের এই কর্ণধারের সম্পদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে এনবিআর।
নগদ
গত বুধবার (২১ আগস্ট) ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।
প্রশাসকের সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তার জন্য আরও ৬ কর্মকর্তাও প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মধ্যে দিয়ে নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর এ মিশুকের কার্যক্ষমতা কমে আসে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে মিশুক অজ্ঞাত স্থান থেকে নগদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
পুঁজিবাজার
গত ১০ আগস্ট শনিবার পদত্যাগ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। গত ১৩ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে মাসুরর রিয়াজকে নিয়োগ দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ট এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য আছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক দেখা দিলে ওই পদে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এরপর গত ১৯ আগস্ট সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের দায়িত্বে থাকা ড. হাফিজ পরে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
এনবিআর
গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের নিয়োগ বাতিল করে সরকার। ওইদিনই এনবিআরের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানকে।
বিডা
গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া ও বিডার নির্বাহী সদস্য খাইরুল ইসলামের নিয়োগও বাতিল করা হয়।