ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ আর ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত যত বাড়বে, তেল সরবরাহও তত বিঘ্নিত হবে।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ফিলিস্তিনের গাজার পর লেবানন ও ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই এই হামলা চালাল দেশটি।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যার বেশির ভাগই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে ধ্বংস করা হয়। কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র কেবল ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে অন্তত দুইজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইরানের ইসরায়েলে হামলার পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এক শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৪ দশমিক ৪০ ডলার হয়। এসময় ব্রেন্ট ক্রুড কেনাবেচার সময় এর দর পাঁচ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের মতে, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ। তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট ওপেকে থাকা ১২টি দেশের মধ্যে তেল উৎপাদনে ইরানের অবস্থান তৃতীয়।
তেল ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়লে হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজে করে তেল পরিবহন কঠিন হয়ে পড়বে, কারণ ইরান ও ওমানের মধ্যে যে জলপথ, তা দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশের বেশি তেল সরবরাহ করা হয়।
ওপেকের অন্যান্য সদস্য যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাক এই হরমুজ প্রণালী দিয়েই তাদের তেলের বড় অংশই দেশে দেশে রপ্তানি করে থাকে।