জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অলিম্পিক বাছাইয়ে অল্পের জন্য কোটা প্লেস পাননি রবিউল ইসলাম। কিন্তু স্বপ্ন দেখেছিলেন, ব্রাজিলে গিয়ে ভালো স্কোর করবেন। শেষ পর্যন্ত রবিউলের স্বপ্ন পূরণ হলো না।
রিও ডি জেনিরোতে সোমবার আইএসএসএফ ফাইনাল অলিম্পিক কোয়ালিফিকেশন চ্যাম্পিয়নশিপে আগের টুর্নামেন্টের চেয়েও কম স্কোর করেছেন রবিউল।
বাংলাদেশের কোনও শুটারেরই তাই অলিম্পিক কোটা প্লেস পাওয়া হচ্ছে না। এবার শুটারদের তাকিয়ে থাকতে হবে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য।
সোমবার ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের পুরুষ এককে রবিউল করেন ৬২৭.৬ পয়েন্ট। ৯৬ জন প্রতিযোগির মধ্যে তিনি হয়েছেন ৩১তম। অথচ জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় এই ইভেন্টে রবিউল করেন ৬২৮ পয়েন্ট।
ব্রাজিলে এবার বাংলাদেশের আরেক শুটার জিদান হোসেনও বাজে স্কোর করেছেন। তিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ৬২০ পয়েন্ট করে হয়েছেন ৭৭তম। ৬৩০ স্কোর করে সর্বশেষ প্রতিযোগি হিসেবে এই ইভেন্টের ফাইনালে কোয়ালিফাই করেছেন ইতালির এদোয়ার্দো বোনাজ্জি।
মেয়েদের ইভেন্টেও হতাশা উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই শুটার। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মেয়েদের এককে শায়েরা আরেফিন করেছেন ৬২৪.৪ পয়েন্ট স্কোর। ১০২ জন শুটারের মধ্যে তিনি হয়েছেন ৫৭তম। আরেক শুটার জাফিরা চৌধুরীর স্কোর ৬২৩.১। তিনি হয়েছেন ৬৭তম।
এর আগে শায়েরা আরেফিন ইন্দোনেশিয়াতে জানুয়ারি মাসে করেছিলেন ৬২৬.৮ পয়েন্ট। জাফিরা করেছিলেন ৬২৫.১ পয়েন্ট। দুজনেরই স্কোরে অবনতি হয়েছে এবার।
ইন্দোনেশিয়ায় ভালো সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি রবিউল। কিন্তু ব্রাজিলে ভালো কিছু করবেন তিনি, এমনটাই আশা করেছিলেন দুটি অলিম্পিকে অংশ নেওয়া আবদুল্লাহ হেল বাকি।
কিন্তু শুটারদের এমন স্কোরে হতাশ বাকি বলেন, “এমন বড় মঞ্চে স্কোর করতে গিয়ে হয়তো ওরা চাপে ভেঙে পড়েছে। কারণ এটা ছিল ওদের জন্য শেষ সুযোগ কোটা প্লেসের। এসব ভেবে হয়তো চাপ নিয়ে ফেলেছে শুটাররা। আগের টুর্নামেন্টগুলোতে যেহেতু স্কোর ভালো করেছিল, এবারও আশা করেছিলাম আরও ভালো কিছু করবে। কিন্তু কেউই কোয়ালিফাই স্কোরের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। ”