অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড পড়েছে একই গ্রুপে। সুপার এইটের ফেবারিটও তারা। তবে ইংল্যান্ডের শঙ্কা বাড়িয়ে দিল স্কটল্যান্ড। ওমানকে আজ ৭ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে স্কটল্যান্ডই। ওমানের ৭ উইকেটে ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ ৪১ বল বাকি থাকতে ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের ঝড়ে পেরিয়ে যায় তারা। ৩১ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ম্যাকমুলেনের।
গ্রুপ ‘বি’তে ৩ ম্যাচ শেষে স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫। ২ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৪, নামিবিয়ার ২, ইংল্যান্ডের ১ ও ওমানের ০। ইংল্যান্ডকে সুপার এইট খেলতে হলে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে ওমান ও নামিবিয়াকে। সে সঙ্গে প্রার্থণা করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে যেন হারাতে না পারে স্কটল্যান্ড বা ম্যাচটা যেন বৃষ্টিতে পণ্ড না হয়।
ওমানের ১৫০ রানের জবাবে ঝড়ো শুরুই করেছিল স্কটল্যান্ড। ৮ ওভারের আগেই ৮০ রান তুলে ফেলে তারা। জর্জ মানসি ২০ বলে ৪১ আর মাইকেল জোনস ফিরেন ১৩ বলে ১৬ করে। তবে ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের ৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় হার না মানা ৬১-তে দাপুটে জয় পায় স্কটল্যান্ড।
ওমান প্রথম ম্যাচে জয়ের মুখে থেকেও হেরেছিল নামিবিয়ার কাছে। তাও সুপার ওভারে। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পায়নি তারা। হারতে হয় ৩৯ রানে। আজ স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় নিল এবারের মত।
এর আগে ওমানের ওপেনার প্রতিক আথাভালে ব্যাট করেছিলেন ১৬তম ওভার পর্যন্ত। তিনি একটা প্রান্ত আগলে থাকাতেই স্কোরটা পৌঁছে ১৫০ রানে। ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৫৪ করেন প্রতিক। তাকে ক্রিস গ্রিভস ফেরান ম্যাকমুলেনের ক্যাচ বানিয়ে।
প্রতিক ছাড়া অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও আয়ান খান ভরসা হয়ে ছিলেন ক্রিজ আঁকড়ে। ৩৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে ১৫ রানের মধ্যে ১৩ রান একাই করেন আয়ান।
সাফিয়ান শরিফ ৪০ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট মার্ক ওয়াট, ব্র্যাড হুইল ও ক্রিস সোলের। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েছিলেন হুইল।