Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

বাংলাদেশের পেঁয়াজ পাওয়ার পথ খুলছে ভারত

Onion
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে সীমিত পরিসরে আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রপ্তানি বন্ধের প্রায় আড়াই মাসের মাথায় রবিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর মোদি সরকার পেঁয়াজ টনপ্রতি রপ্তানিতে দাম ৮০০ ডলার বেঁধে দেয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকবে বলা হয়।

তবে তার আগেই গত ৮ ডিসেম্বর ভারত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে পরের দিন বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ খুচরায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ২২০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়।

রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সীমিত পরিসরে ফের ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, পেঁয়াজ রপ্তানির বিস্তারিত আগামী দুই দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে। তবে রপ্তানি শুরুতে সীমিত থাকবে বলে তিনি জানান।

পাওয়ার জানান, এই সিদ্ধান্ত পেঁয়াজ চাষিদের জন্য এক বিরাট স্বস্তি হবে। রপ্তানি শুরু হলে পাইকারি পেঁয়াজের দামের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম মিলবে।

ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশ্যে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ভারতের কোন কোন সংস্থা এই রপ্তানির সঙ্গে জড়িত থাকবে, তা এখনও জানা যায়নি।

ভারত সরকার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, বাহরাইন, ভুটান ও নেপালসহ কয়েকটি দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের নাশিক ও আহমেদনগরের মতো এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ফলনে ক্ষতি হয়। ফলে গত নভেম্বরে পেঁয়াজের মৌসুমের সময় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। এতে পেঁয়াজের দাম বাড়ে ও সরকার ৮ ডিসেম্বর রপ্তানি নিষিদ্ধ করে।

এর আগেই ২০২৩ সালের আগস্টে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। তখন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে। তবে এতে তেমন একটা কাজ হয়নি।

৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল নাশিকের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে কমে ১৩ রুপিতে নেমে আসে। দামের এই পতনে পেঁয়াজ চাষিরা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে পেঁয়াজের অবদান শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। আর শাকসবজির ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১০ শতাংশ। পেঁয়াজের দাম বাড়লে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বাড়ে। এই পরিস্থিতি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত