Beta
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

সামিট গ্রুপের বাড্ডার ৫৪ কাঠা জমি জব্দের নির্দেশ

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
[publishpress_authors_box]

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, তার পরিবার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ঢাকার বাড্ডার সাতারকুলের ৫৪ কাঠা জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেনের আবেদনে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দিয়েছে।

দুদক বলছে, ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির এসব জমির বাজার মূল্য এক কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত মূল্য ৯ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। তার ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, সামিট গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মালিকাধীন স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এজন্য তার মালিকাধীন স্থাবর সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ৯ মার্চ সামিট গ্রুপের ১৯১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় একই আদালত, যেগুলোতে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকা রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত দেড় দশকে কারা কারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, তার অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সেই অনুসন্ধানে সামিট গ্রুপও রয়েছে জানিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন এই শিল্প পরিবার সংশ্লিষ্ট ১৯১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আদালতে আবেদনটি করেন।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ পরিচালনাসহ নানা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা ব্যবসায় নিয়ে সামিট গ্রুপের সম্পদমূল্য কমপক্ষ ২৫০ কোটি ডলার। ফোর্বসের করা সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এই গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের নাম রয়েছে।

আজিজ খানের ভাই ফারুক খান গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক খান ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সরকারে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর পুনরায় মন্ত্রী করেন তাকে। তার আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও হন তিনি। 

ওই বছরের আগস্টে অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস পর অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন ফারুক খান। অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত বিভিন্ন হত্যা মামলায় আসামি হয়ে এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত