ভালোবাসার দিনটা বদলে গিয়েছিল বিষাদে। ২০১৩ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভোরে সে সময়ের ২৯ বছর বয়সী মডেল রিভা স্টিনক্যাম্পকে বাথরুমের দরজা দিয়ে চারবার গুলি করে হত্যা করেছিলেন অস্কার পিস্টোরিয়াস।
এর আগের বছরই লন্ডন অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান অ্যাথলেট। অলিম্পিকে দুই পা বিহীন দৌড়ানো প্রথম এই অ্যাথলেট খুনের দায়ে জেলে ছিলেন এতদিন। অবশেষে আজ প্যারোলে মুক্তি পেলেন ‘ব্লেড রানার’খ্যাত এই অ্যাথলেট। কারাদণ্ডের অর্ধেকের বেশি পার হওয়ায় আইন অনুযায়ী ৩৭ বছর বয়সী পিস্টোরিয়াস রাজধানী প্রিটোরিয়ার বাইরের অ্যাটারিজভিল কারাগার থেকে মুক্তি পান আজ। তবে শর্ত অনুযায়ী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি।
একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কাজ করতে চান মন্ত্রী, ‘‘ ফেডারেশনগুলোকে মূলত আর্থিক সাপোর্ট দিব। তখন তাদেরকেও আমাকে একটা টার্গেট দিতে হবে। এখন কোথায় আছি, সামনে কোথায় যাব বলতে হবে। তারা ৫-১০ বছরের সময় নিতেই পারে। কিন্তু তিন বছর পর কোথায় যাব সেটা বলতে হবে। যাদের সাপোর্ট দিব তারা সেটা ঠিক মতো কাজে লাগতে পারছে কিনা সেটা দেখতে হবে। ”
২০১৪ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল পিস্টোরিয়াসকে। স্টিনক্যাম্পের মা জুনের আপিলের পর ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জেনেবুঝে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০১৭ সালে দীর্ঘ ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় পিস্টোরিয়াসকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী শাস্তির অর্ধেক মেয়াদ পার হলে প্যারোলে মুক্তিতে বাধা থাকে না। তাই আপিলের পর প্যারোলে মুক্তি পেলেন তিনি। শর্ত অনুযায়ী দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বাড়িতে থাকতে হবে পিস্টোরিয়াসকে। ২০২৯ সালে সাজা শেষ হওয়া পর্যন্ত অংশ নিতে হবে থেরাপিতে । অ্যালকোহল সেবনও করতে পারবেন না এ সময়। পাশাপাশি অংশ নিতে হবে জনসেবামূলক কাজেও।
পিস্টোরিয়াস প্যারোলে মুক্তির পর রিভার মা জুন বললেন, ‘‘ ভালোবাসার মানুষ ফিরে না আসলে ন্যায়বিচার কখনোই হবে না। যে কোন পরিশাণ শাস্তিই রিভাকে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট নয়।’’ এজন্যই প্যারোলের বিরোধিতা করেননি তিনি।