Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কানাডাকে হারিয়ে টিকে রইল পাকিস্তান

341
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

পাকিস্তানের সুপার এইটের আশা ঝুলছে সূতোর উপর। নিজেদের হাতে কিছু নেই। যেটা আছে, বড় ব্যবধানে শেষ দুটি ম্যাচ জেতা। সেই কাজটাই করে রাখল পাকিস্তান। আজ কানাডাকে তারা হারাল ৭ উইকেটে।

কানাডার ৭ উইকেটে ১০৬ রানের চ্যালেঞ্জ বাবর আজমের দল পেরিয়ে যায় ১৫ বল হাতে রেখে। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারালে আর যুক্তরাষ্ট্র শেষ দুই ম্যাচ হারলে সুপার এইটের দরজা খুলতে পারে পাকিস্তানের।

পাওয়ার প্লেতে কানাডা করেছিল ২ উইকেটে ৩০ রান। সেখানে পাকিস্তান করে ১ উইকেটে ২৮! কলিম সানা, জার্মেই গর্ডনদের ব্রেট লি, জাসপ্রিত বুমরার মত ভয়ংকর মনে হচ্ছিল তাদের! বাবর আজমের জায়গায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন সায়েম আইয়ুব। কিন্তু সায়েম ফিরেন ১২ বলে ৬ রানে। ৫ রানে পাওয়া জীবনটাও কাজে লাগাতে পারেননি এই তরুণ।

রিজওয়ানের সঙ্গে এ নিয়ে সায়েম টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করলেন ৯ ইনিংস। তাতে এই জুটি ১৩.১১ গড় আর ৬.৬১ রান রেটে করেছে মাত্র ১১৮ রান।

ওয়ানডাউনে নেমে বাবর আজম রানের গতি বাড়ান মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে গড়া জুটিতে। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ৩৩ বলে ১ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৩৩ করে আউট হন বাবর। ডিলন হেইলিগারের বলে উইকেটরক্ষক শ্রেয়াস মভভাকে ক্যাচ দেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।  পাকিস্তানের ২টি উইকেট নেন হেইলিগার। ৪ ওভারে তার খরচ ১৮ রান। ৪ রান করা ফখর জামানকে ফেরান গর্ডন।

বাবর ফিরলেও অপর প্রান্তটা আঁকড়ে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ২ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৫৩ রানে। তবে ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ আমির।

কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফরের জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায়। কলিম সানার জন্ম রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলেছেন তারা। এজন্যই টসের সময় বাবর আজম বলেছিলেন, ‘‘কানাডার অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার।’’

খেলার মাঠে অবশ্য ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। পাকিস্তানি বোলাররা সেই ছাড় দেননি। পাকিস্তানের পেসারদের গতিতে খেই হারিয়ে নিউইয়র্ক নাসাউ স্টেডিয়ামের ধীর গতির পিচে কানাডা ৭ উইকেটে করেছিল ১০৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটা কানাডার চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের ইনিংস।

অ্যারন জনসন করেন ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫২ রান। নিউইয়র্ক নাসাউ স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচে শুরুতে ব্যাট করে যা কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ। কলিম সানা ১৩ ও সাদ বিন জাফর করেন ১০ রান। এছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি।

হারিস রউফ ৪ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট আর মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর।

৭১তম ম্যাচে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখেন হারিস রউফ, যা তৃতীয় দ্রুততম। রশিদ খান ৫৩ ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গা টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিয়েছেন ৬৩ ম্যাচে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত