৫৫৬ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৫০০’র বেশি রান করেও ইনিংস হারের লজ্জায় ডুবেছে তারা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিব্রতকর হারের পরই নতুন ঘোষণা এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে। নির্বাচন প্যানেল পুনর্গঠন করেছে তারা। এই প্যানেলে আম্পায়ার আলিম দারকে যোগ করে চমকই দিয়েছে পিসিবি।
গত বছর আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আলিম দার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও আম্পায়ারিং চালিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানি আম্পায়ার। যদিও কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, চলতি মৌসুম শেষে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। তার আগেই নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন আলিম দার। পাকিস্তান জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে পিসিবি। কোনও আম্পায়ারের জাতীয় দলের নির্বাচক হওয়ার ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে বিরল।
শুধু আলিম দার নয়, নির্বাচক প্যানেলে পিসিবি নিয়োগ দিয়েছে আরও দুজনকে- আকিব জাভেদ ও আজহার আলীকে। তারা তিনজন যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ও কোচ এবং আসাদ শফিক ও হাসান চিমাকে নিয়ে গড়া নির্বাচন প্যানেলে। এই সাতজনের ভোটে গঠন করা হবে পাকিস্তানের স্কোয়াড।
তাদের বাইরে নির্বাচন প্যানেলে আছেন আরও চারজন- আজহার মেহমুদ (সহকারী কোচ), বিলাল আফজাল (পিসিবি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা), নাদিম খান (ডিরেক্টর, হাইপারফরম্যান্স) ও উসমান ওয়ালা (ডিরেক্টর, ইন্টারন্যাশনার ক্রিকেট)। এই চারজন প্যানেলে থাকলেও তারা দল নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।
সব মিলিয়ে ১১ জনের নির্বাচন প্যানেল পাকিস্তানের। কিন্তু এই কমিটিতে প্রধান বলে কেউ নেই! নির্বাচন প্যানেলে নতুন নতুন নাম যোগ ও ছাঁটাই করা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে পিসিবির। সেকারণেই হয়তো ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২৬ জন আলাদা নির্বাচক দেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নির্বাচন প্যানেল থেকে ছাঁটাই হন ওয়াহাব রিয়াজ ও আব্দুল রাজ্জাক। দিনকয়েক আছে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান আরেক নির্বাচক মোহাম্মদ ইউসুফ। অন্যদিকে শুক্রবার নতুন তিনজনকে নির্বাচক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিল পাকিস্তান। যেখানে আলিম দারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতভাবেই বড় চমক।