Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

সংকটময় পাকিস্তানে নির্বাচনে কি পরিত্রাণ মিলবে

রাজনৈতিক সংকট বাড়তে থাকায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারও হুমকির মুখে রয়েছে। ছবি: এপি।
রাজনৈতিক সংকট বাড়তে থাকায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারও হুমকির মুখে রয়েছে। ছবি: এপি।
[publishpress_authors_box]

গভীর অর্থনৈতিক ও অমীমাংসিত রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সমালোচকদের অভিযোগ, ইমরান খানকে ক্ষমতার বাইরে রাখার পরিকল্পনা মাথায় রেখেই এবারের নির্বাচন সাজানো হয়েছে। তার পরিবর্তে সেনাবাহিনীর পছন্দের কাউকেই ফের দেশটির ক্ষমতায় বসানো হবে।

পাকিস্তানে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী দেশটির স্বাধীনতার গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি দেশ শাসন করেছে। সামরিক বাহিনীই দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তানের সরকারি বাজেটের ১২.৫ শতাংশই ব্যয় হয় সামরিক খাতে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। চার প্রতিবেশীর মধ্যে তিনটির সঙ্গেই সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।

দেশের ভেতরেও সহিংসতা বেড়ে চলেছে। ভৌগোলিক ও ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ তুলছে।

এই নির্বাচন নিয়ে আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়, গভীর মেরুকরণের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তাসহ অনেকেই এই নির্বাচনকে রাজনীতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার একটি গণভোট হিসেবে দেখছেন।

ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চলতে থাকায় এবারের নির্বাচনে ভোট কম পড়বে নাকি নীরব প্রতিবাদ হিসেবে পিটিআই প্রার্থীদের পক্ষে ভোট বাড়বে তাও স্পষ্ট নয়।

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান

পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ৩০ শতাংশে উঠেছে। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। ঋণ ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতও ৭২ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এসবের পাশাপাশি পুরোনো হয়ে পড়া সরকারি কাঠামোর সমস্যাও মোকাবেলা করতে হবে দেশটির নতুন সরকারকে।

ইসলামাবাদের একজন দারোয়ান মুহাম্মাদ ওয়াকাস বলেন, “প্রতিদিনই আমাদের দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গরমকালে আমরা অলসভাবে বসে থাকি এবং কষ্ট পাই।”

অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর মতো পাকিস্তানের ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডেসপ্যাস কোম্পানিতেও বিনিয়োগে সরকারের ধারাবাহিক অক্ষমতা এটিকে ব্যর্থতার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

অতি সম্প্রতি কোভিড-১৯ মহামারী ও জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও ম্লান করে দিয়েছে। এতে কম লাভজনক রপ্তানি পণ্য, যেমন, তুলা ও চাল, থেকে বেশি লাভজনক পণ্য রপ্তানির দিকে যাওয়ার প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

২০২২ সালের শেষদিকে মৌসুমী বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। বন্যায় তুলার ক্ষতি দেশটির বস্ত্র শিল্পকেও ধ্বংস করে দেয়, যা তাদের রপ্তানির মূল উৎস। ২০২৩ সালে সব সূচকে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক স্তরে নেমে এসেছে।

বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির জন্য আমদানিনির্ভর পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতেও পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও গত বছরের মে মাসে একদম তলানিতে নেমে আসে, যা দিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব ছিল। এতে জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেরও ঘাটতি দেখা দেয় দেশটিতে।

পরের মাসে অবশ্য ইসলামাবাদ আইএমএফ থেকে ৩ বিলিয়ান ডলার ঋণ পায় এবং কোনওমতে দেউলিয়াত্ব এড়াতে সক্ষম হয়। তবে আইএমএফ ঋণ দেওয়ার সময় কিছু কঠোর শর্ত আরোপ করে এবং এমন কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার আনতে বাধ্য করে, যেগুলো জনপ্রিয় হয়নি। নির্বাচনের পর নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করতে না করতে সেই ঋণ চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তির অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার তার দুর্বল বিদ্যুৎ খাতে নতুন কর আরোপ এবং ইউটিলিটি ভর্তুকি কমাতে বাধ্য হয়। এতে বিদ্যুতের দাম একলাফে অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে।

দেশটিতে গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ এর সঙ্গে আগের ঋণচুক্তির অংশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার উদারীকরণে সম্মত হওয়ার পর গত বছরের শুরু থেকেই দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। বিনিময় হারের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথল করে বাজারের ‍ওপর ছেড়ে দেওয়ার পর মুদ্রার মান দ্রুত কমে যায়।

২০২৩ সালে পাকিস্তানি রুপি এশিয়ার সবচেয়ে নিম্ন মানের মুদ্রা ছিল। গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ২০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রা। গত দুই বছরে মোট ৫০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিচ রেটিং এর একজন পরিচালক ক্রিজানিস ক্রাস্টিনস বলেন, “আমরা মনে করি রুপির দাম আরও কমবে। এতে পাকিস্তানের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি কমবে। কারণ পাকিস্তানি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ব্যয় বাড়বে। এতে আমদানিও কমবে।”

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান জানায়, গত ডিসেম্বরে আমদানি ব্যয় থেকে ৩৯৭ মিলিয়ন ডলার বেঁচেছে।

ক্রাস্টিনস আল জাজিরাকে বলেন, “গত অর্থবছরে পাকিস্তানের পণ্য আমদানি ২৭ শতাংশ কমেছে। তবে, সীমিত মানব পুঁজি এবং দুর্বল অবকাঠামোর কারণে তাদের রপ্তানিও গতি পাচ্ছে না। ফলে, ট্রেড অ্যাকাউন্টে সংশোধন অর্থনীতিতে হতাশাজনক প্রভাব ফেলেছে।”

সম্প্রতি প্রচুর মানুষ চাকরি হারানোয় দেশটিতে বেকারত্বের হারও রেকর্ড ৮.৫ শতাংশে উঠেছে। এতে নতুন করে ৮৪ লাখ থেকে ৯১ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে।

কাঠামোগত সমস্যা

উটাহ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারিক বানুরি বলেছেন, অর্থনৈতিক সংকট ছাড়ও পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ‘কাঠামোগত সমস্যায়’ও ভুগছে।

বানুরি বলেন, “শুরুতেই যেটা বলতে হয়, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হার এর দ্রুত বেড়ে চলা জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ দেশগুলোর মধ্যে একটি। পাকিস্তানে কৃষি জমির মালিকদের কাছ থেকে কোনও আয়কর নেওয়া হয় না। আবাসন ব্যবসায় লাভের ওপরও কোনও কর নেই।

“দেশটির একের পর এক সরকার বড় ব্যবসায়ীদের না ক্ষেপাতে শক্তিশালী কর আইন আরোপ করার পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু ঋণ সংকটের কারণে এবছর তাতে পরিবর্তন আসতে পারে।”

কর থেকে আয় বাড়াতে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোর আধুনিকীকরণে ইসলামাবাদের ব্যর্থতা পাকিস্তানে ক্রমাগত রাজস্ব ঘাটতি এবং বড় ঋণের বোঝা তৈরি করেছে। এতে দেশটির বৈদেশিক ঋণ গত বছর ১২৫.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

আগামী জুনের শেষ নাগাদ পাকিস্তানকে ২৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মুখোমুখি হতে হবে, যার বেশিরভাগই চীনের পাওনা।

চীন পাকিস্তানের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা। গত বছরও তারা পাকিস্তানকে ২.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। অনেক অর্থনীতিবিদের প্রত্যাশা, নতুন সরকার আইএমএফ থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা করবে এবং পাবেও। আইএমএফ এর সঙ্গে দেশটির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী এপ্রিলে।

পাকিস্তানের চেজ সিকিউরিটিজের গবেষণা পরিচালক ইউসুফ ফারুক বলেছেন, গত বছর সরকারি খরচে কাটছাঁট করায় এবছর আর নতুন করে ব্যয় সংকোচনের সম্ভাবনা কম। তবে সরকারি তহবিলের ঘাটতি পুরনে সম্ভবত দেশটির ধনীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা চাওয়া হবে।

ইউসুফ ফারুক বলেন, “নতুন সরকার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেলেও কৃষি ও আবাসন ব্যবসার ওপর নতুন কর আরোপ না করলে পাকিস্তান তার ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। তবে যদি পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদ সহ স্বল্পমেয়াদী ঋণচুক্তি করতে পারে তাহলে হয়ত আপাতত ঋণ পরিশোধের চাপ কমবে।”

এদিকে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে বিদেশি বিনিয়োগও অব্যাহতভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।

এমন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও নির্বাচনে বিশাল ব্যয় করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শত শত কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক সংকট

রাজনৈতিক সংকট বাড়তে থাকায়ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ম্লান হচ্ছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়ানোর পর থেকে ইসলামাবাদের ভঙ্গুর গণতন্ত্র একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চলছে। পাশাপাশি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর হামলাও বাড়ছে।

ইমরান খানকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ইমরান খানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও জনমত জরিপে অন্য যেকোনও রাজনীতিবিদদের চেয়ে তিনি অনেক বেশি এগিয়ে আছেন। দেশটির ৫৭ শতাংশ মানুষ ফের তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায়।

ইমরান খান নির্বাচনে না থাকায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এর প্রধান নওয়াজ শরিফের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন তার নিজের বা ভাই শেহবাজ শরিফের অধীনে গত ৩০ বছরে চারবার দেশটির ক্ষমতায় এসেছে।

এই মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতীক হিসেবে ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এতে ইমরান খানের দল ভোটের মাঠে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ দেশটির লাখ লাখ নিরক্ষর ভোটার শুধু দলীয় লোগো দেখে ভোট দেয়। পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার মাত্র ৫৯.৩ শতাংশ।

অধ্যাপক তারিক বানুরি বলেন, “লোকে যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে রাজবংশীয় এবং শোষণমূলক বলে সমালোচনা করে তা সত্য। কিন্তু তারপরও আমি আশাবাদী। আমি মনে করি অর্থনৈতিক সংকটের সবচেয়ে খারাপ সময়টি আমরা পেছনে ফেলে এসেছি।

“সামনের দিনটি আজকের চেয়ে ভালো হবে, আমি সবসময় এমনটাই আশা করি। তথাপি, আমি মনে করি না যে, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অর্থবহ কোনও পরিবর্তনের প্রস্তাব দেবে। তারা শুধু ক্ষমতায় আসা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে।”

পাকিস্তানের নির্বাচন : এক নজরে

আসন : পার্লামেন্টের মোট আসন সংখ্যা ৩৪২। এরমধ্যে ২৭২টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬০ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুর জন্য ১০টি আসন বরাদ্দ থাকে।

ভোটার সংখ্যা : নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। এদের মধ্যে ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ভোটার ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, ৪৬ থেকে ৫৬ বছর বয়সী ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৯ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ৬৬ উর্ধ্ব ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রার্থী : এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৫ হাজার ১২১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮০৬, নারী ৩১২ এবং ট্রান্সজেন্ডার ২ জন।

দল : নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ১৬৭।

ভোটকেন্দ্র : সর্বমোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯০ হাজার ৬৭৫টি। এগুলোর অর্ধেককেই গতকাল সোমবার ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে জঙ্গিদের হামলায় ১০ পুলিশ নিহত হয়। এরপরই মূলত নির্বাচন কমিশন এমন ঘোষণা দেয়।

ভোটের হার : ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত