২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই প্রথম আইরিশদের মুখোমুখি হলো পাকিস্তান। কিন্তু সেই সাক্ষাৎটা বড় ক্ষত তৈরি করল পাকিস্তানের ক্রিকেটে। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে তারা। হারের কারণ হিসেবে বাজে বোলিং ও ফিল্ডিংকে সামনে এনেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
ইতিহাস লিখেছে আয়ারল্যান্ড। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। ডাবলিনের প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে এই ফরম্যাটে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে পাকিস্তানের করা ১৮২ রানের জবাবে ১ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে আইরিশরা।
আয়ারল্যান্ডের জয়ের নায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। এই ওপেনার ৫৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন কার্টিস ক্যাম্ফার (৭ বলে ১৫*) ও গ্যারেথ ডেলানি (৬ বলে ১০*)।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল পাকিস্তানের। এবারের বিশ্বকাপেও তাদের ধরা হচ্ছে অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেল দলটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে সিরিজ শুরুর করায় ব্যাপক সমালোচনার শিকারও হচ্ছে তারা।
অধিনায়ক বাবর হারের কারণ হিসেবে সামনে এনেছেন বাজে বোলিং ও ফিল্ডিংকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, “(ব্যাটিংয়ে) প্রথম ৬ ওভারে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা ভালো অবস্থানে পৌঁছাই এবং ১৮২ রান যোগ করতে পারি স্কোরবোর্ডে। যদিও আমার মনে হয় ১৯০ রান হওয়া উচিত ছিল।”
সেটা না হলেও ১৮২ রান ডিফেন্ড করা সম্ভব ছিল বলে মনে করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু বোলিং ও ফিল্ডিং ঠিকঠাক করতে না পারায় হতাশ বাবর, “আমার মনে হয় আমরা হেরেছি বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের কারণে। আমরা আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তাবায়ন করতে পারিনি। ফিল্ডিংয়ে ভুল করার খেসারত দিতে হয়েছে।”
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে রবিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে পাকিস্তান।