২০ রানে পড়ল নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট। তাতে জয়ের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল পাকিস্তানের। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ড্যারেল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস এমন ব্যাটিং করলেন যে আর উইকেটই পড়ল না কিউইদের। চতুর্থ উইকেটে তাদের রেকর্ড জুটিতে আরেকবার হতাশায় ডুবল পাকিস্তান। ৭ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০তে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
আজ (শুক্রবার) ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৯০ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করে সফরকারীরা। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা নড়বড়ে হলেও দাপুটে জয়ই পেয়েছে কিউইরা। মিচেল ও ফিলিপসের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে ১১ হারে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শাহীন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়েন কিউই ব্যাটাররা। এই পেসারের বলে ৮ রান করে ফেরেন ফিন অ্যালেন। পরে টিম সেইফার্টকে শূন্য রানে বিদায় করে তুলে নেন উইল ইয়ংয়ের (৪) উইকেটও। ফলে ২০ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে।
এরপরই শুরু মিচেল-ফিলিপসের দাপট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মিচেল ৪৪ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। অন্যদিকে ফিলিপস ৫২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৭০ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে তারা ১৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন স্বাগতিকদের স্বস্তির জয়।
তাতে গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে এই পজিশনে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে তাদের আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১২৪ রানের। ২০১৭ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রান করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও কোরে অ্যান্ডারসন।
সব মিলিয়ে মিচেল-ফিলিপসের এই জুটি নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটি ১৮৪ রানের। ২০২০ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই রান করেছিলেন ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস।
লম্বা সময় পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টিতে ওপেনারের ভূমিকায় ছিলেন বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি মন্দ ছিল না। তবে বাবর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নতুন পথে হেঁটেছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। রিজওয়ানকে ওপেনিংয়ে রাখলেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে বাবরকে। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের নতুন ওপেনিং জুটি রিজওয়ান-সায়েম আইয়ুব।
তবে কাজ হচ্ছে না এই জুটিতে। আগের ম্যাচে রিজওয়ান-সায়েম জুটি করেছিল ২৩ রান। এই ম্যাচে তো মাত্র ৫ রানেই শেষ। অবশ্য সায়েম ১ রানে আউট হলেও একাই দলকে টেনে নিয়েছেন রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটার ব্যাট ক্যারি করে মাঠ ছাড়ার আগে খেলেন হার না মানা ৯০ রানের ইনিংস। ৬৩ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। এছাড়া ১১ বলে ১৯ রান করেছেন বাবর। আর শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ৯ বলে খেলা ঝড়ো ২১* রানে দেড়শ ছাড়ায় পাকিস্তানের স্কোর।
নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার সমান ২ উইকেট পেতে লকি ফার্গুসনের খরচ ২৭ রান।