Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে রবিবার ভোট হওয়ার কথা। ছবি : ডন
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে রবিবার ভোট হওয়ার কথা। ছবি : ডন
[publishpress_authors_box]

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন, তা নির্ধারণে দেশটির পার্লামেন্টে রবিবার (৩ মার্চ) ভোট হবে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নির্ধারিত কক্ষে এই ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা হয়নি।

ক্ষমতায় যেতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে সমঝোতা করেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। এই দুই দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে আরও ছয় দল।

মোট আট দলের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে দাঁড়িয়েছেন পিএমএল-এন এর প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের নেতা ওমর আইয়ুব খান।

পাকিস্তানের ৩৩৬ সদস্যের পার্লামেন্টের নেতা হতে শেহবাজ শরিফের দরকার ১৬৯ ভোটের।

এর আগে উভয় প্রার্থীই পার্লামেন্ট সচিবালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে উভয় পক্ষের নেতাদের উপস্থিতিতে বাছাইয়ের পর স্পিকার আয়াজ সাদিক তা বৈধ ঘোষণা করেন।

ওমর আইয়ুব শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে বলেছিলেন, পিএমএল-এন নেতা ফর্ম-৪৭-এ কারসাজির মাধ্যমে তার জাতীয় পরিষদের আসন ‘উপহার’ পেয়েছেন।

তিনি সোশাল মিডিয়া এক্সে বলেন, “ফর্ম-৪৫ অনুযায়ী আসন হেরে যাওয়ায় শেহবাজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাকে ভুলভাবে পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।” যদিও তার এই আপত্তি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

শেহবাজ শরিফ পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, বিএপি, পিএমএল-জেড, আইপিপি ও এনপি দলের সমর্থন পেয়েছেন। পার্লামেন্টে এই দলগুলোর মোট সদস্য সংখ্যা ২০৫ জন। তবে এ দলগুলোর মধ্যে দুই জন নির্বাচিত সদস্য এখনও শপথ গ্রহণ করেননি।

যেভাবে হবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন

সংবিধানের ৯১ অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাকিস্তানের সংবিধানের ৯১ অনুচ্ছেদের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, “স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্ট অন্য কাজ বাদ দিয়ে বিতর্ক ছাড়াই তার একজন মুসলিম সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।”

একই অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের সদস্যদের মোট সদস্যপদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত করা হবে। তবে প্রথম নির্বাচনে কোনও সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে প্রথম নির্বাচনে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত সদস্যদের মধ্যে দ্বিতীয়বার নির্বাচন হবে। উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যিনি পাবেন, তাকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।”

সংবিধানের ৯১(৩) ও ৯১(৪) অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের নীতিমালা বর্ণিত হলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। ২০০৭ সালের পার্লামেন্টের কার্যবিধি পরিচালনার নিয়মাবলী ও দ্বিতীয় তফসিল – এই দুটি অংশে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।

দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী, “ভোটগ্রহণ শুরুর আগে স্পিকার পাঁচ মিনিটের জন্য ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ দেবেন যাতে কক্ষে অনুপস্থিত সদস্যরা উপস্থিত হতে পারেন। ঘণ্টা বাজানো বন্ধ হলে লবির সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ করা হবে। ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রবেশপথ দিয়ে কেউ যাতে প্রবেশ ও বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করবে সংসদের কর্মীরা।”

এরপর স্পিকার প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিতে ইচ্ছুক সদস্যদের নির্ধারিত লবিগুলোতে যেতে বলবেন। ওই লবিগুলোর প্রত্যেকটিতে একজন করে ভোট গণনাকারী থাকবেন।

ভোট গণনাকারীদের ডেস্কে পৌঁছানোর পর প্রত্যেক সদস্য নিয়ম অনুসারে তাদের বরাদ্দকৃত বিভাগ নম্বর বলবেন। গণনাকারীরা একইসঙ্গে সদস্যের নাম উচ্চারণ করে বিভাগের তালিকায় নম্বরটি চিহ্নিত করবেন।

একজন সদস্য তার ভোট সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতের জন্য, গণনাকারী তার নাম উচ্চারণ না করা পর্যন্ত সরবেন না। ভোট রেকর্ড করার পর ঘণ্টা বাজার আগ পর্যন্ত কক্ষে ফিরে আসবেন না ওই সদস্য।

স্পিকার যখন দেখবেন যে, ভোট দিতে ইচ্ছুক সব সদস্য তাদের ভোট রেকর্ড করেছেন, তখন তিনি ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘোষণা দেবেন। এরপর সচিব বিভাগের তালিকা সংগ্রহ করে ভোট গণনা করবেন। ভোটের ফল তখন স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

তারপর স্পিকার সদস্যদের কক্ষে ফেরার জন্য দুই মিনিট ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ দেবেন। ঘণ্টা বাজানো শেষ হলে স্পিকার পরিষদের কাছে ফল ঘোষণা করবেন।

তথ্যসূত্র : ডন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত