অপেক্ষার অবসান। অবশেষে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল পাকিস্তান। ২০২১ সালের পর ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবার সাফল্য এলো। সেটাও এলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হারের পর। ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের রূপকার দুই স্পিনার- সাজিদ খান ও নোমান আলী। দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০ উইকেটের ৩৯টিই নিয়েছেন পাকিস্তানি দুই স্পিনার।
রাওয়ালপিন্ডির তৃতীয় টেস্ট ৯ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১১২ রানে অলআউট হলে স্বাগতিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬ রানের। ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯ বলেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ফলে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যাবধানে জিতে নিয়েছে শান মাসুদরা। অধিনায়ক হিসেবে মাসুদের এটি প্রথম সিরিজ জয়।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। ওই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩ বছর ৮ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল তারা। এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ ঘরে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
মুলতানের প্রথম টেস্ট বাজেভাবে হারের পর স্পিন-সহায়ক উইকেটে ইংল্যান্ডকে থামানোর পরিকল্পনা করে পাকিস্তান। এই পরিকল্পনায় তারা পুরোপুরি সফল। মুলতানের ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। এ নিয়ে সমালোচনা হলেও পাকিস্তান তাদের পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটায় ১৫২ রানে জিতে। সিরিজে সমতায় ফেরার ১-১-এ।
ওই টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের সবক’টি তুলে নিয়েছিলেন সাজিদ ও নোমান। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন এই দুই স্পিনার। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের ১৯টি তাদের দখলে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর দুই টেস্টে সাজিদ-নোমান জুটির শিকার ৩৯ উইকেট।
শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে জাহিদ মাহমুদ একটি উইকেট না নিলে ৪০-এ ৪০ হতে পারতো তাদের। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নোমান (৬) ও সাজিদ (৪)। তবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন সৌদ শাকিল। স্পিনারদের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সিরিজসেরা হয়েছেন ১৯ উইকেট পাওয়া সাজিদ।
স্পিনারদের টেস্টে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছে পাকিস্তান। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম পেসারদের দিয়ে একটি বলও করায়নি পাকিস্তান।