একসময় ত্রিদেশীয় সিরিজ ক্রিকেটে বাড়তি উত্তাপ যোগ করতো। পাকিস্তানের মাটিতেও আয়োজিত হয়েছে তিন দেশের লড়াই। সময়ের পালাবদলে ত্রিদেশীয় সিরিজ খুব একটা হয় না। পাকিস্তানের কথা বললে তো স্মৃতি হাতরে খুঁজতে হবে! দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ত্রিদেশীয় সিরিজ ফিরছে পাকিস্তানের মাটিতে।
২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। আট দেশের এই লড়াইয়ের আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের ক্রিকেটভক্তদের দিল আরেকটি খুশির খবর। দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করতে না পারা পাকিস্তান আবার ফিরছে আগের জায়গায়। দেশের মাটিতে আইসিসির ইভেন্ট আয়োজনের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ- খুশির হাওয়াই বইছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে।
দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শেষবার তিনজাতির টুর্নামেন্ট খেলেছিল তারা সেই ২০০৪ সালে। সময়ে হিসাব বলছে, ২১ বছর পর আবার পাকিস্তানে ফিরছে এই লড়াই। এবার তারা সিরিজটি সাজাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে।
দেশের বাইরেও পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা নেই অনেকদিন। সবশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশে তিনজাতি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল তারা, তৃতীয় দলটি ছিল ভারত। লম্বা বিরতি দিয়ে দেশের মাটির সিরিজ দিয়েই আবার এই লড়াইয়ে ফিরছে পাকিস্তান।
কিছুদিন আছে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বৈঠক করেছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে। বৈঠকে ইতিবাচক ফল পেয়েছে পিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড দুই দলই খেলতে রাজি হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই সিরিজ সবার জন্য ‘লাভজনক’ হবে বলে মনে করছেন নাকভি।
পিসিবি চেয়ারম্যান বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ় খেলতে সম্মত হওয়ায় আমরা খুশি। দুই দেশের বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, একটা উত্তেজনাকর সিরিজ উপহার পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশ্বের সেরা আট দলকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এই প্রতিযোগিতা পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে বাড়তি পাওয়া।”
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল পাকিস্তানে। ওই ঘটনার পর ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়েই সবচেয়ে বড় উপলক্ষ তৈরি হচ্ছে দেশটিতে।
এরপরই রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রতিযোগিতা দিয়ে প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাচ্ছে আইসিসির কোনও ইভেন্ট। যদিও ২০২৫ সালে প্রতিযোগিতাটি পাকিস্তানের মাটিতে হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। আইসিসির চলমান সভা শেষে আসবে ঘোষণা।