নেপালের সঙ্গে ম্যাচটা হলই না শ্রীলঙ্কার। বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাওয়ায় তাদের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে অঙ্কের মারপ্যাঁচে এখনও আশা বেঁচে রয়েছে কিছুটা। একইভাবে বিদায়ের কিনারে থেকেও সুপার এইটের আশা শেষ হয়ে যায়নি পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। সেটা কীভাবে, দেখে নেওয়া যাক।
শ্রীলঙ্কা
গ্রুপ ‘ডি’ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গ্রুপ থেকে জায়গা আর একটাই। বাংলাদেশ কাল (বৃহস্পতিবার) নেদারল্যান্ডসকে হারালে সুপার এইটের পথে এগিয়ে যাবে অনেকটা। আর বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে লঙ্কানদের। তবে বাংলাদেশের ম্যাচও যদি বৃষ্টিতে পণ্ড হয় তখন আশার পালে হাওয়া লাগবে লঙ্কানদের।
সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি নেদারল্যান্ডসকে হারায় তখন তাদের পয়েন্ট হবে ৩। আর বাংলাদেশ যদি শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে হারে তখন বাংলাদেশেরও পয়েন্ট থাকবে ৩। শেষ চার দলেরই পায়েন্ট থাকবে সমান ৩। তাতে নেট রান রেটে সুপার এইটে পৌঁছাতে পারে লঙ্কানরা।
পাকিস্তান
কানাডার সঙ্গে পাকিস্তান এত দেরিতে জিতল কেন, এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন পাকিস্তানি সাবেক কজন ক্রিকেটার। তবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানের হারের ব্যবধান এতই অল্প ছিল যে, রান রেট নিয়ে বাবর আজমদের মাথা না ঘামালেও চলবে (রান রেট +০.১৯১)।
তাদের একটাই প্রত্যাশা, শেষ দুই ম্যাচে যেন যুক্তরাষ্ট্র হারে (রান রেট +০.৬২৬)। দুই ম্যাচ মিলেও যুক্তরাষ্ট্রের হারের ব্যবধান মাত্র ১০ রান হলেও তাদের রান রেট টপকে যাবে পাকিস্তান। দুশ্চিন্তার হচ্ছে, পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা। ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে গেলে পাকিস্তানের স্বপ্নও ভেসে যাবে।
ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের অবস্থাও পাকিস্তানের মতই। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যাশা করতে হবে অস্ট্রেলিয়া যেন শেষ ম্যাচে হারায় স্কটল্যান্ডকে। স্কটিশদের পয়েন্ট ৫ আর রান রেট +২.১৬৪। সেখানে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১ আর রেন রেট -১.৮০০।
শেষ দুই ম্যাচে জিতলে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট হবে ৫। তখন আসবে রান রেটের হিসেব। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ডকে হারতে হবে ২০ রানে। আর ইংল্যান্ডকে দুই ম্যাচ মিলিয়ে জিততে হবে ৯৪ রানে। তাহলেই স্কটিশদের হতাশ করে সুপার এইটে যাবে জস বাটলারের দল। স্কটল্যান্ডের হারের ব্যবধান কম হলে, ইংল্যান্ডের জয়ের ব্যবধানও বাড়বে আনুপাতিক হারে।
নিউজিল্যান্ড
আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেই সর্বনাশটা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। শেষ তিন ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। আর ৬ পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ আছে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। সেক্ষেত্রে আসবে রান রেটের হিসেব।
প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানে হারায় শেষ তিন ম্যাচ জিততেই হবে নিউজিল্যান্ডকে। কঠিন পরীক্ষা হচ্ছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো। সেই ম্যাচ জিতলে রান রেটের হিসেবটা পরিষ্কার হবে তাদের জন্য।