Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

ইন্টারনেট, মোবাইল সেবা বন্ধ রেখে ভোট চলছে পাকিস্তানে

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট চলছে বৃহস্পতিবার। ছবি : এএফপি
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট চলছে বৃহস্পতিবার। ছবি : এএফপি
[publishpress_authors_box]

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগারেই রেখেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট ঘিরে দেশটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পাকিস্তানজুড়ে ভোট শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রেখে ভোট শুরুর বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোট ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সাময়িকভাবে এই সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন ঘিরে সম্প্রতি পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রেখে বৃস্পতিবার দেশটিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া ভোট শুরুর আগে ইমরান খান কারাগার থেকে দেওয়া এক বার্তায় তার সমর্থকদের ভোট দেওয়ার পর ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র অবস্থানের আহ্বান জানান— ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মূল্যবান কিছু প্রাণ গেছে। এই প্রেক্ষাপটে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার জন্য নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।”

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ জানান, নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তও সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় পার্লামেন্টের মোট ৩৪২টি আসনের মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। বাকি আসনগুলোর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬০, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি ও কেন্দ্রশাসিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার জন্য ছয়টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। ২৬৬টি আসনের মধ্যে একটিতে নির্বাচন স্থগিত থাকায় বৃহস্পতিবার ২৬৫টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। এদের মধ্যে ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ভোটার ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, ৪৬ থেকে ৫৬ বছর বয়সী ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৯ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ৬৬ উর্ধ্ব ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৫ হাজার ১২১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮০৬, নারী ৩১২ এবং ট্রান্সজেন্ডার ২ জন।

দেশটিতে এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯০ হাজার ৬৭৫টি। এগুলোর অর্ধেককেই সোমবার ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে জঙ্গিদের হামলায় ১০ পুলিশ নিহত হয়। এরপরই মূলত নির্বাচন কমিশন এমন ঘোষণা দেয়।

এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত