ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রীর প্রোটোকল ভাঙ্গার অভিযোগে ইউপি সদস্য আল নোমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কোস্টগার্ড।
সেন্টমার্টিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল নোমান। শনিবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যার হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও নির্মাণাধীন ডাকঘর ভবন পরিদর্শন করেন।
এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফের কেরুনতলি কোস্টগার্ড জেটি থেকে আল নোমানকে আটক করেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। সেখান থেকে রাত ২টার দিকে তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। যদিও মন্ত্রী বা তার সফর-সঙ্গীদের কাছ থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন সফরের দায়িত্বে থাকা প্রোটোকল কর্মকর্তা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিন সফরে মন্ত্রী মহোদয় তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। ওই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।”
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর প্রোটোকল কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, “মন্ত্রী, তার স্ত্রী বা সফর-সঙ্গীদের কাছ থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ আমি পায়নি। কোস্টগার্ড কী কারণে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে আমি কিছুই জানি না।”
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ কোস্টগার্ড ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কোস্টগার্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য আল নোমানকে বিকেলে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।