সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তার স্ত্রী মোসা. আরিফা জেসমিন কনিকা, পরিবার ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
কোনও ব্যাংকে তাদের ব্যাংক হিসাব থাকলেও আগামী ৩০ দিন তারা কোনও লেনদেন করতে পারবে না। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টালিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ)।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ থাকায় এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন জুনাইদ আহমেদ পলক। ইন্টারনেট বন্দের কারণ হিসেবে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার কথাও বলেছিলেন তিনি।
তবে মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনায় পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের সম্পর্ক ছিল না।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান, সেদিনও সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ ছিল।
পরের দিন ৬ আগস্ট পলকও দেশ ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে যান, সেখান থেকে তাকে আটকের খবর আসে। তবে তারপর থেকে তার বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি।
রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত কয়েক দিনে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের আরও কয়েক জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবার, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবার।