আল বায়ত স্টেডিয়ামে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক কাতার। অথচ এশিয়ান কাপের শেষ ষোলর ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে আসা ৬৪ হাজার দর্শকই গলা ফাটিয়েছে বিপক্ষ দল ফিলিস্তিনের জন্য।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ম্যাচের আগে পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা। এরপর থেকেই ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ ব্যানার নিয়ে আসা দর্শকরা উৎসাহ জুগিয়ে যান দেশটির ফুটবলারদের। তবে শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী কাতারের সঙ্গে পেরে উঠেনি তারা। ২-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কাতারের কোচ মারকুয়েজ লোপেজ স্বাগতিক দর্শকদের এমন আচরণে ক্ষোভ না জানিয়ে উল্টো সমর্থন করলেন তাদের, ‘‘ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচটা আবেগের ছিল। দর্শকদের আবেগটা আমি বুঝি। ওরা হৃদয় নিংড়ে খেলেছে। দেশে যুদ্ধের পরও ওরা যেভাবে খেলেছে তাতে শুভকামনা জানাচ্ছি ফুটবলারদের।’’
স্বজন হারানোর যন্ত্রণা আর ইসরায়েলি আগ্রাসনের পরও ফিলিস্তিন ফুটবলারদের লড়াইয়ে খুশি দলটির কোচ মাকরাম দাবুব, ‘‘‘আমার খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলেছে। শুরুতে প্রতিপক্ষকে খুব জায়গা দেয়নি। আমি গর্বিত। মাথা উঁচু করে বিদায় নিচ্ছি।’’
ওডে ডাবাগের ৩৭ মিনিটের গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ফিলিস্তিনই। বিরতির কিছুক্ষণ আগে সমতা ফেরান হাসান আল হিদোস। ৪৯ মিনিটে আকরাম আফিফের পেনাল্টিতে নিশ্চিত হয় কাতারের কোয়ার্টার ফাইনাল।
শেষ ষোলর অপর ম্যাচে ইরাককে ৩-২ গোলে হারিয়েছে জর্ডান। দুই দলেরই লালকার্ড দেখেছিলেন দুজন করে। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছিলেন জর্ডানের হামজা। ম্যাচে তখনও সমতা ছিল ২-২ গোলে। ১০ জন নিয়ে এর এক মিনিট পরই গোল করে জর্ডানকে জেতান নিজার আল রাশদান।