Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

গাজায় কান্নাভেজা ঈদ

Gaza_Eid
[publishpress_authors_box]

সৌদি আরব, ইরাক, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে রবিবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদ হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায়ও। তবে সেখানে ছিল না ঈদের খুশি; ছিল শুধু স্বজন হারানোর শোক আর তীব্র ক্ষুধা।

গাজায় টানা ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। মাটি ও আকাশ থেকে তাদের অব্যাহত বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যু উপত্যাকায় পরিণত হয়েছে প্রায় পুরো গাজা।

গাজার প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইতিমধ্যে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ হাজার। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৫ হাজার।

দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকটও। উত্তর গাজায় প্রায় দুর্ভিক্ষ চলছে। শুধু রুটি খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। অর্থাভাবে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্যও হারিয়েছে তারা।

এমন চরম মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদ উদযাপন করেছে গাজাবাসী। ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই তারা ঈদের নামাজ পড়েছে। আর নামাজের পর আনন্দের বদলে শোকগ্রস্ত হৃদয়ে গেছেন স্বজনদের কবর জেয়ারত করতে।

সব মিলে গাজাবাসীর জন্য এবারের ঈদ কোনোভাবেই আনন্দের ছিল না।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ শনিবার জানায়, মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকায় গাজার মানুষ চরম পর্যায়ের ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছে।

ইসরায়েল অবশ্য ঈদের দিন রবিবার থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটের আশেপাশে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা করে যুদ্ধ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

ঈদের দিনও ইসরায়েলি বিমান দক্ষিণ গাজার রাফাহর তাল আল-সুলতানের একটি বাড়ি এবং গাজা সিটির আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের নিকটবর্তী শুহাদা আল-শাতি স্কোয়ারসহ আশেপাশের এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে।

মধ্য গাজার নুসাইরাত ক্যাম্পের উত্তরে আল-মুগরাকা শহরেও বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, আলি জাজিরা

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত