অবশেষে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ পাওয়া গেল। এবং বিসিবির পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের নীতিগত ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। বিসিবির একজন পরিচালককে নাজমুল হাসান দেশের বাইরে থেকে ফোনে এমনটা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি বর্তমানে বোর্ডের সক্রিয় পরিচালকরা বর্তমান করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেই উক্ত পরিচালক সভার সবাইকে নাজমুল হাসানের এই ইচ্ছার কথা জানান।
সকাল সন্ধ্যাকে একজন পরিচালক জানিয়েছেন, বিসিবিতে সংস্কারের সুযোগ করে দিতে নাজমুল হাসান পদত্যাগ করতে রাজি আছেন।
এখন গঠনতন্ত্র মেনে বিসিবির কাছে লিখিত ভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে নাজমুল হাসানকে। পরে তা পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদিত হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া হবে বোর্ড সভার মাধ্যমে। আপাতত বিদেশে থাকলেও নাজমুল হাসান বিসিবি প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে সভা ডাকতে পারবেন।
তার পদত্যাগ গৃহিত হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো সিদ্ধান্তে আসতে বিসিবিতে নয়জন পরিচালকের কোরাম প্রয়োজন হয়। ইতোমধ্যে পরিচালক মাহবুব আনাম, ইফতেখার রহমান, আকরাম খান, কাজী এনাম, জালাল ইউনুস, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, সাজ্জাদুল আলম ববিসহ কোরামও প্রস্তুত আছে।
এরপর তারা শরণাপন্ন হবেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত দিলে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ।
এর বাইরে গিয়ে পরিচালকরা একযোগে পদত্যাগ করলে বিসিবির জন্যই বিপদ। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের প্রায় ১৩ জন পরিচালক আপাতত আত্মগোপনে আছেন। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে এখনই বোর্ড সভা হওয়ার কথা। কিন্তু পরিচালকরা না থাকায় সভা হচ্ছে না।
এই অবস্থায় সভাপতির পদ থেকে শুরু করে এক সংখ্যক পরিচালকের একসঙ্গে সরে দাঁড়ানো বিসিবির জন্য হীতে বিপরীত হতে পারে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে দেশের ক্রিকেট বোর্ডে এমন পরিবর্তন ভালো ভাবে নেবে না আইসিসি।
অবশ্য আইসিসিও খুব বেশি অপেক্ষা করবে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোথায় হবে এ নিয়ে তারা চড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ২০ আগস্ট।