আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনের আছেন বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে বোর্ড গঠন করা হলেও অল্প কয়েকজন পরিচালক দিয়ে বিসিবির সকল কাজ চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে সংকট কেটেছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টানা তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত নাজমুল হাসান পাপন নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের অনেকে। তাই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালক পদ হারাচ্ছেন তারা।
সেই তালিকায় সাবেক বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, তানভীর আহমেদ টিটু, নজিব আহমেদ, আ জ ম নাছির, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, শেখ সোহেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মঞ্জুর কাদের। এদিকে আর পাঁচ জন পরিচালক পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হচ্ছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল, খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুস। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি পদত্যাগ না করলেও তাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অব্যাহতি দিয়েছে।
এনএসসির সচিব মো: আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে গঠনতন্ত্রের ১৫.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকায় কতজন পরিচালকের পদ শূন্য হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১৩.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই শূন্য পদ পূরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবারের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফারুক আহমেদ পরিচালিত বোর্ড। সেখানে অ্যাডহক ভিত্তিতে বর্তমান পরিচালকদের বোর্ডের বিভিন্ন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান। এছাড়া বুধবারের সভায় নতুন গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার আহবায়ক করা হয়েছে নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
একই কমিটিতে সামনের বিপিএল আয়োজনের দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে বিপিএল চলবে ৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এবারের বিপিএলে সম্পূর্ণ ই-টিকিটিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বর্তমানে বিসিবিতে সক্রিয় পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, মঞ্জুরুল আলম, আকরাম খান, সালাউদ্দিন চৌধুরি, কাজী এনাম আহমেদ ও ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
তাদের মধ্যে সভাপতি ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটা থেকে এসেছেন। মূলত জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম ববির রিপ্লেসমেন্ট হয়েছেন তারা। এরপর পরিচালনা পর্ষদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।