জীবনের প্রথম অলিম্পিক। কতটা উত্তেজিত থাকার কথা এই অ্যাথলেটের। কিন্তু লজ্জায় মুখ লুকিয়ে কলঙ্কের গালি গায়ে মাখলেন সাজ্জাদ সেহেন। ইরাকের এই জুডোকা ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অলিম্পিক শুরুর আগেই তার ডোপপাপ ধরা পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সি (আইটিএ) এবারের অলিম্পিকের অ্যান্টি-ডোপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে সাজ্জাদের শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্যারিসে সাজ্জাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর অলিম্পিকের উদ্বোধনের আগে তিনি পজিটিভ হয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম ডোপপাপী এই ইরাকি জুডোকা।
আইটিএ জানিয়েছে, সাজ্জাদের নমুনায় বিপরীতধর্মী ও নিষিদ্ধ মেটানডিয়েনান এবং বোল্ডেনন পাওয়া গেছে। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) এ দুটি ড্রাগকে নিষিদ্ধ করেছে।
২৮ বছর বয়সী এই ইরাকির ৮১ কিলোগ্রাম ক্লাসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। জীবনের প্রথম অলিম্পিকে নামার আগেই বড় ধাক্কা খেলেন। ডোপিংয়ের বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইটিএ’র বিবৃতি অনুযায়ী, সাজ্জাদ কোনও প্রতিদ্বন্দিতা, অনুশীলন কিংবা প্যারিস অলিম্পিকের কোনও কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
যদিও ইরাকের অলিম্পিক দল থেকে বলা হচ্ছে অন্য কথা। দলটির ম্যানেজার হেরদা রাউফ বলেছেন, “সাজ্জাদের অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। সম্ভবত এ কারণে কিছু ওষুধ নিতে হয়েছে তার।” এখন ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ এসেছে কিনা এ ব্যাপারে তদন্ত করবে আইটিএ।
এই সংস্থা এটাও জানিয়ে রেখেছে, ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন সাজ্জাদ। একইসঙ্গে আরেকবার নমুনা পরীক্ষার আবেদনও করতে পারবেন তিনি।
