প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেয়।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পাসের সামনে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২৩ ব্যাচের ছাত্র পারভেজকে। ২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।
গত ২৩ এপ্রিল রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাইবান্ধা থেকে মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৫ এপ্রিল তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২১ এপ্রিল রাতে হৃদয় মিয়াজীকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ২৩ এপ্রিল তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই মামলায় মাহাথির হাসান এবং আল কামাল শেখ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছে। আলভী হোসেন জুনায়েদ, আল আমিন সানি রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল বনানী থানায় মামলা করেন নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ন কবীর মামলা দায়ের করেন।