চট্টগ্রামের পটিয়ার পৌর মেয়র, কাউন্সিলরসহ ১৭ ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে খেয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ। গতকাল শুক্রবার দুপুরের এ ভোজে অংশ নেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহারুল ইসলামও।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে তার লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
পটিয়া আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল।
স্থানীয়রা বলছেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। নির্বাচনের দুই দিন আগে এস আলমের কর্ণধারের ভোজে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অংশ নেওয়া ভোটের মাঠে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের কয়েকটি ছবি সকাল সন্ধ্যা পেয়েছে। এগুলোয় দেখা গেছে, খাবার টেবিলে একেবারে সভাপতির আসনে বসা মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী। আর তার দুই পাশে বসা সাইফুল আলম মাসুদ এবং ছোট ভাই গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াদের একজন হাবিলাস দ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান ফৌজুল কবির কুমার।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমরা নিজ উদ্যোগে পটিয়ার কৃতি সন্তান এস আলমের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ সাহেবের সাথে দেখা করতে গেছি। তিনি উপস্থিত থেকে আমাদের খাইয়েছেন। আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
ইউপির চেয়ারম্যান ফৌজুল কবির বলেন, “মাসুদ সাহেব বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করে নৌকার পার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা একজন চেয়ারম্যান ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলাম।”
এস আলমের কর্ণধারের বাড়ির ভোজে অংশ নিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে ফোন দিলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন।
পরে ছবির কথা মনে করিয়ে দিলে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “অন্য একটি দাওয়াতে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে মাসুদ সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়েছে। দাওয়াত খেতে গেলে তো দেখা হবেই। তবে কোনো বৈঠক হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদকে মোবাইলে করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ আসনে এবার নির্বাচনে লড়ছেন মোট নয়জন। ২০০৮ ২০১৪ ২০১৮ সাল তিনবারই নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন শামসুল হক চৌধুরী। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে প্রথমবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
সাইফুল আলম মাসুদ প্রায়ই দেশের বাইরে, বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে থাকেন। সেখান থেকেই দেশে-বিদেশের ব্যবসা দেখাশোনা করেন তিনি।
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে দেশে এসেছেন সাইফুল আলম মাসুদ। তিন দিন ধরে গ্রামের বাড়িতে আছেন। নির্বাচন শেষ করে আবার দেশের বাইরে যাবেন।