সরকারের কাছে করের টাকা জমা দিতে নাগরিকদের নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। ব্যাংকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
করদাতাদের স্বস্তি দিতে ব্যাংকে না গিয়ে এবার ঘরে বসে কোনও ঝামেলা ছাড়াই আয়কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের দেওয়া করই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। অথচ সরকারের কাছে করের টাকা জমা দিতেই পোহাতে হয় নানা ঝামেলা।
“এখন থেকে ব্যাংকে লাইন দিয়ে আয়কর জমা দেওয়া বা আয়কর অফিসে গিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়ার ঝামেলা করতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই আয়কর জমা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করবেন- এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহরে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহরের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া এখন থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
“দেশের বাকি সবাইকে অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “কোন প্রতিষ্ঠান কত বেশি করদাতার আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দিচ্ছে, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জনের জন্য জেলায় জেলায়, শহরে শহরে প্রতিযোগিতা হোক।”
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে একে অপরকে সহযোগিতার আহ্বান জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে করদাতাদের সাহায্যে এগিয়ে আসারও অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আপনার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবকে শিখিয়ে দিন কীভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর জমা দিতে হয়।
“তরুণ-তরুণীদের অনুরোধ করছি, এই ব্যাপারে করদাতাদের সাহায্য করার জন্য। ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু হতে পারে।”
আগামীতে সব ধরনের কর সরকার অনলাইনে সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও ভিডিও বার্তায় জানান প্রধান উপদেষ্টা।